ওডিশার এক ইঞ্জিনিয়র তথা গবেষক নয়নধর পাধিওয়াল দাবি করেছিলেন যে লাল পিঁপড়ের চাটনিতে কোভিড সারতে পারে। এরপর সেই গবেষক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন জানান যাতে কোভিড মোকাবিলায় তাঁর প্রস্তাবিত এই দাওয়াই বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে পাধিওয়ালের সেই আবেদন খারিজ করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিক্রম নাথ এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের এই আবদেনের প্রেক্ষিতে পালটা প্রশ্ন, গোটা দেশকে কীভাবে লাল পিঁপড়ের চাটনি খেতে বলা যায়? সুপ্রিম কোর্টের তরফে আবেদনকারীকে বলা হয়, আপনার ইচ্ছে হলে আপনি কোভিড ওষুধ হিসেবে এই চাটনি খেতেই পারেন। কেই এতে বাধা দেবে না। তবে সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসেবে এই আদালত দেশের জনগণকে লাল পিঁপড়ের চাটনি খেতে বলতে পারি না। আপনার দাবি অনুযায়ী এই চাটনি যে কোভিড থেকে রক্ষা করে, তার কোনও বৈজ্ঞনিক ভিত্তি বা প্রমাণও নেই।
এদিকে আবেদনকারীর যুক্তি, লাল পিঁপড়ের চাটনি যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা বিগত কয়েক শতক ধরেই প্রমাণিত। বহু গবেষণায় এর পক্ষে সমর্থন রয়েছে। আদিবাসী এলাকায় এর প্রচলন রয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, এই চাটনিতে ফর্মিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটাবিন বি১২, আয়রন রয়েছে। তবে এই দাবি নিয়ে সিএসআইআর এবং আয়ুষ মন্ত্রকের কাছে গেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনে রাজি হয়নি বলে জানান গবেষকের আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে আদালতের বক্তব্য, রোগ থেকে বাঁচতে বহু মানুষ বিভিন্ন টোটকা প্রয়োগ করে থাকেন। কবে সেই টোটকা বাধ্যতামূলক করা যায় না।