ভূমিকম্পের ধাক্কা থেকে বাঁচাতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে নির্মাণে রুরকির কেন্দ্রীয় ভবন গবেষণা কেন্দ্র (CBRI) এবং IIT ম্যাড্রাস-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করল শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট।
রাম মন্দির নির্মাণ করছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো সংস্থা, এবং মন্দিরের গর্ভগৃহের মাটি পরীক্ষা ইত্যাদি কাজে সহায়তা করছেন CBRI ও IIT ম্যাড্রাস-এর বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লির দফতরে বৈঠকে বসে মন্দিরের ভিতের নকশা চূড়ান্ত করে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট-এর অধীনে থাকা রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায়। গতকাল টুইট করে মন্দিরের ভিত নির্মাণ আরম্ভের খবর জানায় ট্রাস্ট।
দ্বিতীয় টুইটে ট্রাস্ট জানায়, ‘ভারতের প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী নির্মাণ রীতি অমুসরণ করেই রাম মন্দির নির্মাণের কাজ চলবে। সেই সঙ্গে ভূমিকম্প, ঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে তা টিকে থাকে, সেই কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। মন্দির নির্মাণে লোহা ব্যবহার করা হচ্ছে না।’
ট্রাস্ট-এর তরফে চম্পত রায় দাবি করেন, আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মন্দিরের ভিত নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে তা কমপক্ষে ১,৫০০ বছর টিকে থাকে এবং মন্দিরের কাঠামো যাতে অন্তত ১,০০০ বছর অটুট থাকে, সে ভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েচে, রাম মন্দিরের গর্ভগৃহটি প্রায় ২-৩ একর জমির উপরে নির্মিত হবে এবং তাতে থাকবে ১,২০০টি থাম। প্রতিটি থামের ব্যাস হবে এক মিটার এবং ভূপৃষ্ঠের ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত সেগুলি যাবে। এই থামগুলির উপরে বসবে দুই ফিট উঁচু কংক্রিটের বেদি, যার উপরে তৈরি হবে মন্দিরের ভিত। ইতিমধ্যেই মাটির ৬০ মিটার গভীরের ভূ-প্রকৃতি পরীক্ষা করে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো সংস্থাকে ভূমিকম্প থেকে রক্ষায় নির্মাণ প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রস্তাব-সহ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, ৫০০ বছর পরে ভূ-স্তর ৫০০ মিটার বসে গেলে মন্দিরের উপরে কী প্রভাব পড়বে, তাও দেখে নেওয়া হয়েছে পরীক্ষায়, জানিয়েছে ট্রাস্ট।
রাম জন্মভূমি দেখতে আসা উৎসাহী ভক্তদের মন্দির নির্মাণ দেখার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। এর জন্য নির্মাণস্থলে দর্শণার্থীদের জন্য একটি বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট হচ্ছে।