সদ্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে তাদের নতুন গাইডলাইনের কথা। নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যদি পিআইবির অ্যাক্রিডিটেশনে থাকা কোনও সাংবাদিক দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে আঘাত করে কোনও কর্মকাণ্ড ঘটান, তাহলে তাঁর 'অ্যাক্রিডিটেশন' তথা স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। এই ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বক্তব্যের প্রশ্নে তেহসিন পুনাওয়ালা পদক্ষেপ করেছেন। প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী ও তরুণ শিল্পোদ্যোগী হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তেহসিনের।
তেহসিন এদিন একটি রিপ্রেজেনন্টেশন ফাইল করেছেন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে। সেখানে সাংবাদিকদের স্বীকৃতি সম্পর্কীয় গাইডলাইন নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে বৃহত্তর স্বার্থ। নিজের রিপ্রেজেন্টেশনে পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, যে যেহেতেু সংবাদমাধ্যম 'গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, ও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ' এবং যখন তথ্য সম্প্রচার করে নাগরিকদের সচেতন করার প্রশ্ন আসে, বা সরকারের খামতি তুলে ধরে নাগরিকের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রশ্ন আসে, তখন এই চতুর্থ স্তম্ভটির দিকে সকলে তাকিয়ে থাকেন। নিজের বক্তব্যে পুনাওয়ালা তুলে ধরেছেন যে, ভারতের সংবিধানে বাক স্বাধীনতা ১৯ (১) ধারায় স্বীকৃত। এই স্বাধীনতায় সরকার, আমলাতন্ত্র, রাজনৈাতিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। সেই জায়গা থেকে পিআইবির দেওয়া গাইডলাইন একেবারেই অমূলক, 'অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক' বলে উল্লেখ করেছেন পুনাওয়ালা। গোটা ইস্যুতে পুনাওয়ালার আইনজাীবী টি.কে নায়েক পদক্ষেপ করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর আওতায় ভারতের ২৪০০ জন সাংবাদিককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর সেই স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হতে পারে যদি পিআইবির প্রদত্ত গাইডলাইন মেনে না চলা হয়। ঘটনাকে 'সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা' বলে আখ্যা দিয়েছে পুনাওয়ালার রিপ্রেজেন্টেশন। সেখানে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের হাত ধরে সরকার কর্মরত সাংবাদিকদের স্বীকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর আগে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় তথ্য় ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছিল সাংবাদিকদের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হতে পারে যদি তাঁরা প্রদেয় সুবিধান অসৎ উপায়ে ব্যবহার করেন। এরপর ২০২২ সালে নতুন করে আসে আরও একটি গাইডলাইন। যা পেশ করেছে পিআইবি।