জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার হিরদেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে 'স্পেশ্যাল সামারি রিভিশন অফ ইলেকট্রোরাল রোলস' এর প্রক্রিয়ার পর সম্ভবত ২৫ লাখ নতুন ভোটার সেখানে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে চলেছেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সময়কাল ধরে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩৭০ ধারা কাশ্মীর থেকে অবলুপ্তির পর থেকে নতুন করে এই ভোটার তালিকা নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এই মর্মেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মেহবুবা।
উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর 'সাধারণ বসবাসকারী' তিনি কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা হবেনই এমনটা নয়, এমন কেউ ভোট গ্রহণে অংশ নিতে পারেন জম্মু ও কাশ্মীরে। এক্ষেত্রে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা নন এমন ব্যবসায়ী, পড়ুয়া, সেনা কর্মী, জওয়ান, শ্রমিক, যে কেউই ভূস্বর্গের ভোটদানে অংশ নিতে পারবেন। এই পদক্ষেপকে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ভোটদানের ক্ষমতা খর্ব করার নামান্তর বলে দাবি করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, 'এভাবে তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ভোটাধিকারের ক্ষমতা খর্ব করছেন, কারণ যখন ২৫ লাখ ভোটার কাশ্মীরের বাইরে থেকে আসবেন তাতে জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটে কী লাভ হবে?' তিনি অভিযোগের সুর চড়িয়ে বলেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাশ্মীরের মানুষের ভোটাধিকার। বাস্তুশাস্ত্রের টিপস- অর্থ থেকে দাম্পত্যে সৌভাগ্য আনতে জন্মাষ্টমীতে বাঁশি রাখুন ঘরে
মেহবুবাব মুফতি বলেন,'জম্মু ও কাশ্মীরে তারা (বিজেপি) ফ্যাসিবাদীদের আনতে চাইছে, 'ব্যাবহার করা হচ্ছে ভুয়ো নির্বাচনকে। তিন বছর তারা এখানের (জম্মু ও কাশ্মীর) মানুষকে সরাসরিভাবে শাসন করেছে, তাতেও সমস্যা মেটাতে পারেনি। এখন তারা পিছনের দরজার পথ ব্যবহার করছে।' জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় দল পিডিপির নেত্রী বলছেন, 'আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, ২০১৯ সালের পর বিজেপি পাল্টে দিয়েছে দেশের সংবিধান। এবার আপনাদের সময়।' তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন ২০২৪ ভোট বিজেপি জিতলে দেসের জাতীয় পতাকার রঙ গেরুরা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, 'আমি চাই সমস্ত পার্টি (বিরোধী) রা একজোট হোন আর এর বিরোধিতা করা হোক।'