সকালে প্রতীকী কুম্ভমেলার আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক ঘণ্টা পর স্বামী অভদেশ্যানন্দ গিরি ঘোষণা করলেন, এবারের জন্য কুম্ভমেলায় ইতি টানছে জুনা আখড়া। সেই সিদ্ধান্তের পর বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, হুড়মুড়িয়ে দৈনিক করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পর বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে।
হিন্দিতে একটি টুইটবার্তায় স্বামী অভদেশ্যানন্দ বলেন, ‘(কোতিডের বিরুদ্ধে) ভারতীয়দের সুরক্ষাই হল সবথেকে অগ্রাধিকারের বিষয়। করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে আমরা সকল দেবতার বিসর্জন করে দিয়েছি। জুনা আখড়ার জন্য এবারের কুম্ভমেলা শেষ।’
জুনা আখড়ার জন্য কুম্ভমেলার সমাপ্তির ঘোষণা করলেও ইতিমধ্যে গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছেন একের পর এক পুণ্যার্থী। করোনাবিধি মেনে চলার কথা বলেও আদতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার যাবতীয় নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছিল না। বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে ৪৮.৫১ লাখ মানুষের জমায়েত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই সমালোচনার মুখে শনিবার সকালে স্বামী অভদেশ্যানন্দের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। পরে মোদী জানান, সন্ন্যাসীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। করোনার বাড়বাড়ন্ত সত্ত্বেও মোদী দাবি করেন, সকল সন্ন্যাসী প্রশাসনের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করছেন। সেজন্য ‘সন্ন্যাসী দুনিয়াকে’ ধন্যবাদও জানান মোদী। সঙ্গে বলেন, ‘আমি আর্জি জানিয়েছি যে দুটি শাহি স্নান হয়ে গিয়েছে এবং করোনা সংকটের জন্য কুম্ভকে প্রতীকী রাখা হোক। যা সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে শক্তি জোগাবে।’
মোদীর আর্জিতে সাড়া দেন স্বামী অভদেশ্যানন্দ। টুইটারে তিনি বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা আমরা সম্মান করি। ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতি আর্জি যে করোনা পরিস্থিতিতে বড় সংখ্যায় তাঁরা যেন শাহি স্নানে না আসেন এবং নিয়মবিধি মেনে চলেন।' শেষপর্যন্ত অবশ্য জুনা আখড়ার জন্য কুম্ভমেলায় ইতি টানার পথে হেঁটেছেন স্বামী অভদেশ্যানন্দ।