দিল্লি থেকে দারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগে যায় গতরাতে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার কাছে। জানা যায়, প্রাণ বাঁচাতে অনেক যাত্রীই জানলা দিয়ে ঝাঁপান। এরই মাঝে অবশ্য আটজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি বগি একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইঞ্জিন। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি সরাই ভূপত স্টেশনের কাছাকাছি এলে ওখানকার স্টেশন মাস্টার ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ড্রাইভার ও গার্ডকে খবর দেন। ট্রেন থামানো হয়। যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এরই মাঝে অবশ্য বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। (আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশের! এবার কী হবে)
জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি কামরায় আগুন লাগে। পরে সেই কামরা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও দু'টি কামরায়। সেই তিনটি স্লিপার ক্লাস কামরা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে আগুন লাগা তিনটি কামরাকে বাকি ট্রেনের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, একটি কামরার বৈদ্যুতিক সংযোগের শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় ১৬টি ট্রেনকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়। হাওড়া-নয়াদিল্লি লাইনে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। উল্লেখ্য, এই নিয়ে বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: জরুরি অবতরণ বিমানের, উড়ানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে সম্প্রতি আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে গত জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়।