মানিক সাহার নাম ঘোষণা হতেই একেবারে তুমুল হইহট্টগোল। পরিষদীয় মিটিংয়ে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে উত্তরীয় পরিয়েছিলেন বিপ্লব দেব। আর তারপরই শুরু হয়ে যায় বচসা। দলের বিধায়কদের একাংশ কার্যত ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন এক বিধায়ক। তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি চলছে ঘরের মধ্যে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই চলে চিৎকার। কোনওরকমে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করেন অন্য়রা। এদিকে তানিয়েই টুইট করেছে তৃণমূল।
লেখা হয়েছে, চূড়ান্ত গুন্ডামি! রাম প্রসাদ পাল থেকে অন্যান্য এমএলএদের। চরম হইহট্টোগোল হয়েছে। বিপ্লব দেবের ইস্তফা এটা ফের প্রমাণ করছে, বিজেপির শাসনে ওই রাজ্য অন্ধকারময় সময়ের দিকে এগোচ্ছে।
একেবারে চরম কটাক্ষ তৃণমূলের। এদিকে এই ত্রিপুরাতেই সংগঠন বৃদ্ধির দিকে বার বার মন দিয়েছে তৃণমূল। বড় বাধার মুখেও পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। তখন বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেন বাংলার তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ত্রিপুরায় আচমকাই বদলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নাম। সেক্ষেত্রে মানিক সাহা শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরায় তৃণমূলকে কতটা আটকাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। পাশাপাশি বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে যেভাবে সুর চড়াতেন তৃণমূল নেতৃত্ব, সেই চড়া সুর কতটা মানিক সাহার বিরুদ্ধে হবে সেই প্রশ্নও উঠছে।