নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল। আর তার জেরে ৯ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছিল। আট বছর আগের ভুলের খেসারত এভাবেই দিতে হচ্ছে। আজও নিদ্রাহীন রাত কাটছে তাঁদের এই চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে। শিক্ষক দিবসে এমনই ছবি ধরা পড়েছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা রাজ্যে। তবে এখন একটু আশার আলো দেখা গিয়েছে। কারণ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে এই মামলা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।
কেন এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি? জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে দেববর্মা সম্প্রতি নয়াদিল্লির বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এই বিষয়ে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সঙ্গে ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের প্রতিনিধি ছিলেন। এখানে প্রচুর সদর্থক বিষয় রয়েছে। যা আগে আলোচিত হয়নি। তাই দেশের শীর্ষ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার জন্য। আমি সমস্ত খরচ বহন করছি যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।’ ফেসবুকেও এই কথা তিনি একমাস আগে লিখেছিলেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? গতবছর নিজের রাজনৈতিক দল খোলেন প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। তাঁর দলের নাম টিপরা মোথা। এখন আদিবাসীদের স্বশাসিত সংস্থার ক্ষমতায় রয়েছে এই দল। ২০১৪ সালে আগরতলা হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি জানতে পেরে ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল। ২০১৭ সাল থেকে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হয়ে পড়ে রয়েছে।
কেন শিক্ষকদের অনিশ্চয়তায় কাটাতে হচ্ছে? এখানে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ হাজার শিক্ষক বিভিন্ন দফতরে কাজ করছেন অস্থায়ীভাবে। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। তাঁদেরও মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ২০২০ সালের ৩১ মার্চে। তাই এই অনিশ্চিত চাকরি নিয়ে দিন কাটছে তাঁদের। এখন তাঁরা জানতে চায় প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার উদ্যোগ নিয়ে। এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘যদি সদর্থক কিছু করতে পারেন তাহলে সেটা ভাল। নির্বাচনের আগে এই উদ্যোগ নিলে আরও ভাল হতো। এটা যেন লোক দেখানো না হয়।’