চিকিৎসায় গাফিলতি ঘিরে একটি বড়সড় নির্দেশ এল ন্যাশনাল কনজিউমার কমিশনের তরফে। এনসিডিআরসি-র তরফে পুনের একটি আলট্রা সাউন্ড সেন্টারকে ১.২৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার অঙ্ক এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুর পরিবারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আলট্রাসাউন্ড সেন্টার এক গর্ভবতীর আলট্রাসাউন্ড পর পর চারবার ভুল রিপোর্ট দিয়ে পেশ করে। এরপর যে সন্তান ভূমিষ্ট হয়, সে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গবিহীনভাবে জন্মায়।
উল্লেখ্য,'কগনিটাল অ্যানোম্যালিস' নিয়ে ওই শিশু জন্মায়। 'কগনিটাল অ্যানোম্যালিস' অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একজন মহিলার অন্দরে থাকা ভ্রূণের সঠিক বিকাশ না হওয়ার ঘটনাকে বোঝায়, যার জেরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা যায়। আর এই সমস্যা অভিযোগকারী মহিলার গর্ভাবস্থার ১৭ থেকে ১৮ সপ্তাহে ভ্রূণের মধ্যে ছিল বলে জান যাচ্ছে। তবে সেই সমস্যার কোনও তথ্য আলট্রাসাউন্ড সেন্টারের রিপোর্টে আসেনি। শুধু তাই নয়, পর পর চারটি রিপোর্টেও এই সমস্যার কথা জানানো হয়নি। এরপর যে সন্তান জন্মায়,তার শরীরে নেই আঙুল, তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচের অংশ ও বাঁ পায়ের পাতার অংশ নেই। এই ঘটনার জেরে ন্যাশনাল কনজিউমার কমিশনের দ্বারস্থ হয় ওই শিশুর পরিবার। সেই কমিশনের তরফে বিচারপতি আর কে আগরওয়াল ও এস এম কানিতকর নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ওই পরিবারকে ১.২৫ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। জরিমানা দিতে হবে আলট্রা সাউন্ড সেন্টারকে। যাতে শিশুটির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হয় ও তার চিকিৎসার খরচ বহন করা যায়। অল্পেই গুগলে রোগ সার্চ করে তারপরে ডাক্তারের কাছে যান কি? দেখুন এই পোস্টটি
নির্দেশ বলা হয়েছে, যে অর্থ ওই সেন্টার দেবে জরিমানা হিসাবে, তা ওই শিশুটির নামে ফিক্সড ডিপোসিট হিসাবে থাকবে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। আর সেই টাকা থেকে তার অভিভাবকরা তার চিকিৎসার জন্য মাঝে মাঝে কিছু টাকা তুলে নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ওই সন্তানের মা যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন যে নারীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তিনি পরামর্শ করছিলেন সেই চিকিৎসকের কিছু সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি 'পেলভিস' এর আলট্রাসাউন্ডে ইমেজিং পয়েন্ট করাতে বলেন। তারপরই পুনের ওই আলট্রাসাউন্ড সেন্টার রিপোর্টে জানায় ভ্রূণের অবস্থা একেবারেই স্বাভাবিক। তার ভিত্তিতে মহিলার অপারেশন হয়। তারপরই সন্তান ওই অবস্থায় জন্মায়।