প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বরাবরই শান্তি ও অহিংসার পথ অনুসরণ করেছে ভারত। কখনও অন্য দেশের ভূখণ্ড নিজের বলে দাবি করেনি। চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদের প্রেক্ষিতে রবিবার এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি।
এ দিন সংবাদসংস্থা এএনআই গডকড়িকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আমাদের একদিকে পাকিস্তান, অন্য দিকে চিন। আমরা শান্তি ও অহিংসা চাই। আমরা কখনও ভূটান বা বাংলাদেশের জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করিনি। আমাদের পাকিস্তান বা চিনের জমিও দরকার নেই। আমরা শুধু শান্তিই চাই।’
সম্প্রতি নেপালের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া সে দেশের সংশোধিত সংবিধানের অন্তর্গত মানচিত্রে লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার মতো ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপালের বলে দাবি করা হয়েছে। তার জেরে নেপালের এই পদক্ষেপ ‘একমুখী ও কৃত্রিম বৃদ্ধির দাবি’ বলে মন্তব্য করেছে দিল্লি। এই পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে থাকার দাবি তুলবেন : রাজনাথ
অন্য দিকে, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিতর্ক ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা দেওয়ার পরে সামরিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে। এ দিনই সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জম্মুবাসীর উদ্দেশে ভিডিয়ো বার্তায় ভারতের শান্তিপ্রীতির কথা উল্লেখ করে চিনের সঙ্গে সমস্যা সেই পথেই সমাধানের কথা বলেছেন। যদিও তিনি মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি যে, জাতীয় মর্যাদার সঙ্গে কোনও মতেই ভারত আপস করবে না।
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব লাদাখ ও সিকিমে আসল নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে চিনা সেনা সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহ্গে সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েক দফা সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা কিছু কমেছে।
এ দিনের বার্তায় রাজনাথ জানিয়েছেন, ভারত আর দুর্বল দেশ হিসেবে পরিচিত নয়। তবে অন্যকে ভয় পাওয়ানো নয়, আত্মরক্ষার খাতিরেই শক্তি সঞ্চয় করেছে দেশ, জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।