একদিন আগেই বৈষ্ণেদেবীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় আরও অন্তত পঁচিশ জন আহত হয়েছিল। সেই ঘটনায় এবার ‘দায় স্বীকার’ করল ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস’ নামক এক সন্ত্রাবাদী সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনের দাবি, ‘এক বিশেষ ইউনিট এই বাসে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ এই হামলার দায় স্বীকার করে তারা একটি চিঠি প্রকাশ করে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। চিঠিটিতে নাদিম চৌধুরীর স্বাক্ষর ছিল। জানা গিয়েছে, নাদিম এই জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র। (আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে এলোপাথাড়ি গুলি, বন্দুকবাজের ‘লাইভ স্ট্রিম’ হামলায় মৃত কমপক্ষে দশ)
জঙ্গি সংগঠনের সেই চিঠিতে লেখা, ‘ধর্মীয় তীর্থের ছদ্মবেশে এই হিন্দুত্ববাদী শাসকরা জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যা পরিবর্তনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের নোংরা অপপ্রচার আমরা সর্বস্তরে নস্যাৎ করব। জম্মুর উধমপুর এবং রাজৌরি এলাকায় নিয়োজিত আমাদের বিশেষ স্কোয়াড এই আক্রমণটি চালিয়েছিল। এই হিন্দুত্ববাদী শাসক কামানের গোলা হিসাবে ব্যবহার করছে অ-স্থানীয়দের। যারা এখানকার নন, তাদেরকে বিতর্কিত অঞ্চলে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করছি আমরা।’ চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আমরা সতর্ক করতে চাই যাতে তারা এই হিন্দুত্ববাদী এজেন্টদের সঙ্গে হাত না মেলায়।’
এদিকে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন যে পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে তবে তারা এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারছে না। পুলিশের বক্তব্য, ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস’ নামক কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন উপত্যকায় সক্রিয় নয়। এর আগে, শনিবার বিকেলে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত এনআইএ-র একটি দল এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিকে রিয়াসির এসএসপি অমিত গুপ্তা বলেছেন, র্ঘটনায় মৃত চারজনেরই পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তাদের দুজনের মৃতদেহ তাদের জন্মস্থানে পাঠানো হয়েছে, বাকি দুজনের আত্মীয়রা তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে কাটরা যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসী যোগ সামনে আসেনি। পুলিশের সঙ্গে এফএসএল (ফরেন্সিক দল) ও আইবি (ইন্টেলিডেন্স ব্যুরো) দল সেখানে ছিল। আমরা সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোন তথ্য (সন্ত্রাসী যোগ) উঠে আসেনি। তদন্ত চলছে।