দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার সতর্ক হয়েছে। রাম নবমীর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘটেছে হনুমান জয়ন্তীতেও। এই আবহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ যোগী আদিত্যনাথ সরাকারের। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় মিছিল বের করা যাবে না। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ধর্মীয় স্থানের প্রাঙ্গনের বাইরে মাইকের আওয়াজ যাতে না যায়। নির্দেশিকা জারির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন যে ধর্মীয় আদর্শ অনুসারে প্রত্যেকেরই উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করার স্বাধীনতা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে মহারাষ্ট্র সরকার নির্দেশ জারি করেছিল যে অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় জায়গায় মাইক বাজানো যাবে না। মাইকে আজান বাজানো নিয়ে রাজ ঠাকরের আপত্তির পরেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়, মাইক ব্যবহার করা যাবে, তবে মাইকের আওয়াজ যেন ধর্মীয় স্থানের সেই প্রাঙ্গন থেকে বাইরে না যায়। এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে ধর্মীয় স্থান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে। মাইকের আওয়াজের জন্য যাতে অন্য লোকের কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে নতুন করে আর কোনও ধর্মীয় স্থানে মাইক বসাতে দেওয়া হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন যে আগামী দিনে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উত্সব রয়েছে। রমজান মাস চলছে। ঈদ উৎসব ও অক্ষয় তৃতীয়া একই দিনে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকে বাড়তি সংবেদনশীল হতে হবে। থানা থেকে শুরু করে এডিজি পর্যায়ের পদাধিকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকার ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সমাজের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। যোগী বলেলেন যে তহসিলদার, এসডিএম, এসএইচও বা সিও ইত্যাদি, সকলেরই তাদের পোস্টিং এলাকায় রাতে কাটানো উচিত।