উত্তরপ্রদেশের বলিয়তে গত এক সপ্তাহে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এই জেলাতে তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে সরকারের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করছে এই মৃত্যুর ঘটনার। রবিবার দুই দন্তকারী অফিসার বালিয়া গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
1/6 বিগত ৭ দিনে ১০০ জনের মৃত্যু একটি জেলা হাসপাতালে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে বিগত বেশ কয়েদিন ধরেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বা তারও বেশি থাকছে। প্রায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায় ছুঁয়েছে সেখানকার পারদ। এই আবহে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন বহু। এর মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।
2/6 এদিকে বালিয়ায় ১০০ জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক জানিয়েছেন, যদি হাসপাতালের গাফিলতির কারণে ১০০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব।
3/6 জানা গিয়েছে, এই ১০০ জনের মধ্যে গত ১৫ এবং ১৬ জুন মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই দু'দিনও সেই জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় ছিল। এদিকে মৃতদের অধিকাংশরই বয়স ৬০ বছরের বেশি বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা। এই আবহে এই মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। লখনউয়ের দুই উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।
4/6 বালিয়া জেলা হাসপাতালের তথ্য বলছে, ১৫ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে ভরতি হওয়া ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৬ জুন বিকেল পর্যন্ত আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরে শুক্রবার তীব্র তাপপ্রবাহের বলি হন আরও ১০ জন। মোট ৫০ ঘণ্টার মধ্যে দাবদাহের জেরে ৪৪ জনের মৃত্যু হয় বালিয়া জেলায়। আর এদিকে গত গোট সপ্তাহে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
5/6 বালিয়া জেলা হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিক দীবাকর সিংকে ইতিমধ্যই বদলি করা হয়েছ এত সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর। এর আগে তীব্র দাবদাহে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু প্রসঙ্গে দীবাকর বলেছিলেন, 'এই তীব্র গরমে মানুষ অনেক সমস্যায় পড়ছেন। তাপপ্রবাহের জেরে মানুষের শরীরে থাকা অন্যান্য রোগ আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রক্তচাপ বাড়ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।'
6/6 বালিয়া জেলা হাসপাতালের অপসারিত মুখ্য আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে এর আগে দাবি করেছিলেন, হাসপাতালে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা কেউই হিটস্ট্রোকের কারণে প্রাণ হারাননি। এদিকে লখনউ থেকে বালিয়ায় গিয়ে তদন্ত করা দুই আধিকারিকও প্রাথমিক কারণে জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ হিটস্ট্রোক নয়।