বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 2G Spectrum Verdict Row: 'ভণ্ডামির শেষ নেই', 2G স্পেকট্রাম রায়ে সংশোধন চাওয়ায় মোদীকে তোপ কংগ্রেসের
2G Spectrum Verdict Row: 'ভণ্ডামির শেষ নেই', 2G স্পেকট্রাম রায়ে সংশোধন চাওয়ায় মোদীকে তোপ কংগ্রেসের Updated: 27 Apr 2024, 04:45 PM IST Abhijit Chowdhury ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি এবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে দাবি জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলাম না করলে চলবে কি না। এই আবহে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ আক্রমণ শানান মোদী সরকারকে। 1/7 কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'মোদী সরকার এবং ভারত জনতা পার্টির ভণ্ডামির কোনও সীমা নেই। ডঃ মনমোহন সিংয়ের আমলে তারা সকলের কাছে কান্নাকাটি করত। তাদের দাবি ছিল, ২জি স্পেকট্রামের প্রশাসনিক বরাদ্দ একটি 'কেলেঙ্কারি'। এখন, তারা উল্টো যুক্তি দিচ্ছে - তারা নিলাম ছাড়াই যাকে খুশি তাকে স্পেকট্রাম দেওয়ার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে গিয়েছে।' 2/7 জয়রাম রমেশ আরও লেখেন, 'অবশ্যই, এই মোদানী শাসন ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পুঁজিবাদী বন্ধুদের কাছে জনসম্পদ হস্তান্তর করেছে - বিমানবন্দরগুলি একটি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, কয়লা খনিগুলি প্রতারণামূলক নিলামে দেওয়া হয়েছে, এমনকী স্যাটেলাইট স্পেকট্রামও হস্তান্তর করা হয়েছে এর বিনিময়ে... নির্বাচনী বন্ডে ১৫০ কোটি টাকা। এর বিনিময়ে তারা ইতিমধ্যে তাদের কর্পোরেট দাতাদের কাছে ৪ লাখ কোটি টাকা মূল্যের জনসম্পদ হস্তান্তর করেছে।' 3/7 উল্লেখ্য, ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি এবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে দাবি জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলাম না করলে চলবে কি না। ২০১২ সালের এক রায়ে শীর্ষ আদালন জানিয়েছিল, ইউপিএ সরকারের আমলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ২জি স্পেকট্রামের বণ্টন বাতিল করা হচ্ছে। 4/7 স্পেকট্রামকে 'জাতীয় সম্পদ' আখ্যা দিয়ে সব ক্ষেত্রে নিলাম করা বাধ্যতামূলক বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তবে এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রশ্ন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিলাম না করে কিছু সংস্থার হাতে আলাদা ভাবে স্পেকট্রাম তুলে দেওয়া যাবে কি না? এই প্রসঙ্গে তারা পূর্বতন রায়ে কিছুটা সংশোধন চাইছেন। 5/7 উল্লেখ্য, এই রায় সংশোধন করার বিষয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়। কেন্দ্রের দাবি, জাতীয় সুরক্ষা, পরিকাঠামো এবং প্রশাসনের সুবিধার্থে ১৯টি ক্ষেত্রে যেন নিলামের বদলে ছাড় দেওয়া হয় স্পেকট্রাম বণ্টনের জন্য। অবশ্য সরকার এটা স্পষ্ট করে দেয় যে মোবাইল পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলামই করা হবে। 6/7 এর আগে ২০১২ সালে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল ২জি স্পেকট্রামের। সেই সময় মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। সোমবার এই মামলার শুনানির সময় আদালতক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করেছে। নিলাম ছাড়া অন্য ভাবে স্পেকট্রামের বণ্টন সম্ভব নয়। এই আবহে প্রশান্ত ভূষণের দাবি ছিল, সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় পুনর্বিবেচনার কোনও প্রয়োজন আর নেই। 7/7 উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সিএজি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রথম ইউপিএ জমানায় ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের জেরে সরকারের প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এর জেরে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এ রাজা। পরে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এ রাজা, কানিমোঝি-সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তবে সিবিআই এই নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। তাই সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছিলেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই এ রাজা সহ ১৬ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে ফের আবেদন করে। সেই আবেদন গ্রহণ করে উচ্চ আদালত।