বকেয়া ডিএ ইস্যুতে আদালতে চলছে মামলা। এদিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্দোলন। এরই মাঝে এবার নয়া এক ইস্যু নিয়ে সরব হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এই নিয়ে নবান্ন ও বিকাশ ভবনে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ শীর্ষ পদাধিকারীকে ডেপুটেশন দেওয়া হচ্ছে।
1/5 যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের দাবি, অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো সরকারি হেলথ স্কিম সুবিধা দিতে হবে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং অনুদান প্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদেরকেও। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে।
2/5 ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন থেকে প্রতি মাসে স্বাস্থ বরাদ্দের নাম করে বেতন থেকে কিছু টাকা কাটা হয়। এর বদলে তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করা হয়। আন্দোলনকারীদের যুক্তি, বাকি রাজ্যবাসী বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের থেকে কেন এই খাতে বেতন কাটা হবে?
3/5 সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, রাজ্যের কোটি কোটি বাসিন্দা কোনও টাকা না দিয়েই স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যে সুবিধা পাচ্ছেন, সেটা পেতে গেলে ৬০ শতাংশ সরকারি কর্মীকে টাকা দিতে হচ্ছে। এই আবহে তাঁদের প্রশ্ন, কেন এই বিনামূল্য পরিষেবা প্রদানের জন্য তাঁদের কাছ থেকে টাকা কাটা হচ্ছে?
4/5 এদিকে নবান্ন সহ জেলা সচিবালয়ের সরকারি কর্মচারিরা রাজ্য সরকারের হেলথ স্কিমের অধীনে। বিভিন্ন সচিবালয়ের কর্মী সংখ্যা রাজ্যের মোট সরকারি কর্মীদের প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে বাকি ৬০ শতাংশ সরকারি কর্মীদের এই সরকারি হেলথ স্কিমের আওতায় আনা হচ্ছে না। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত সকল কর্মীকেই এই সরকারি স্কিমের আওতায় আনতে হবে।
5/5 সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এভাবে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে। এদিকে ডিএ নিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তে চলেছে। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে আগামিকাল ব্লক স্তরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপর ২৮ ও ২৯ তারিখও কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এই কর্মসূচির সঙ্গে সামিল হতে চলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরাও।