লোকসভা নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার একদিন আগে সরকারের প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে সুধাকর রাও-এর নেতৃত্বাধীন সপ্তম বেতন কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছিল। আজ, ৭ মে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে কর্ণাটকে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এরপর জুন মাসে নির্বাচনী আচরণবিধি শিথিল করা হবে।
1/6 এই আবহে সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের পাঁচ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর পাশাপাশি আরও ৫ লাখ পেনশনভোগী বেতন সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন। আর তাই নির্বাচনী আচরণবিধি প্রত্যাহার হওয়ার সাথে সাথে যাতে এই রিপোর্টটি গ্রহণ করে তা কার্যকর করা হয়, তার জন্য সিদ্দরামাইয়ার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের উপর চাপ রয়েছে।
2/6 কমিশনের প্রতিবেদনে করা সুপারিশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা উচিত এবং ন্যূনতম মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার টাকা করা উচিত। এই আবহে জানা যাচ্ছে নির্বাচন শেষ হলেই কর্মচারীরা এই রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন শুরু করতে পারেন।
3/6 উল্লেখ্য, নয়া বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে তা নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। এই আবহে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার একদিন আগে রিপোর্ট পেশ করা হয়। তার আগে রাজ্য বাজেট অধিবেশনে এই নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
4/6 প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই বেতন এবং ডিএ-র হার সংশোধনের দাবি তুলে আসছেন। এই আবহে বিগত বিজেপি সরকারের আমলেই প্রাক্তন আমলা সুধাকর রাওয়ের সভাপতিত্বে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়েছে বর্তমান সরকার। এই আবহে কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই সয়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভা উত্তাল হয় গত শীতকালীন অধিবেশনেও।
5/6 যখন বিজেপি সরকার কর্ণাটকে ক্ষমতায় ছিল, এবং বাসভরাজ বোম্মাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বেতন স্কেল সংশোধন করতে এবং নতুন বেতন কাঠামো ইত্যাদি প্রণয়নের লক্ষ্যে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল। আর সেই কমিশনের রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরেই। তবে তা পেশ হয় এবছর মার্চ মাসে।
6/6 এই সবের মাঝেই চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে ১৫,৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষের থেকে ২৪ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। গত অর্থবর্ষে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৬৫ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে এই বছরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন খাতে বরাদ্দ ২৪ শতাংশ বাড়ানো হয়। এদিকে আগেই জানানো হয়, রাজ্যে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে সরকারের কোষাগারে ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বোঝা পড়তে পারে।