বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই অষ্টম বেতন কমিশনের দাবিতে সরব হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। এই আবহে এবার ভারতন পেনশন সমাজ তাদের ৬৮তম সাধারণ সভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পাশ করাল। সোমবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় সেই সভা। লোকসভা ভোটের আগে সরকারের ওপরে এই নিয়ে চাপ তৈরির জন্যেই এই প্রস্তাবনা পাশ করানো হয়।
1/5 এই আবহে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পেনশন ও বেতন সংক্রান্ত বিভাগের সচিবকে চিঠিও লেখা হয়েছে ভারতন পেনশন সমাজের পক্ষ থেকে। সেখানে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে ১০ লাখ পেনশনভোগী তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ২১টি রাজ্যের ২২৫টি পেনশন সংগঠন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দিয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৪৫০ জন ডেলিগেট এসেছিলেন এই সভায়।
2/5 চিঠিতে লেখা হয়, এর আগে সপ্তম বেতন কমিশনের তরফ থেকে সুপারিশ করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে আরও কোনও পে কমিশন গঠন না করে সময় মতো সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানো হোক। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সুপারিশ মেনে নেয়নি। ২০১৪ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এরপর ১০ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। এই আবহে নয়া পে কমিশনের প্রয়োজন রয়েছে। এমনিতেই গত পে কমিশন মেনে নিয়েছিল, বছরে দু'বার ডিএ বা ডিআর বাড়ালে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তা পাল্লা দিতে পারে না।
3/5 এদিকে কোভিডকালে বকেয়া ডিএ নিয়েও সরব হয় সগঠনটি। চিঠিতে তারা লেখে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, সেই অনুপাতে বাড়েনি ডিএ। এরই মাঝে দীর্ঘ সময়ের জন্য ডিএ এবং পেনশন বৃদ্ধি আটকে রেখেছিল সরকার। এর জেরে ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। ভারতীয় সংবিধানের মূল বার্তা, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। সেই অনুযায়ী যেন সরকার কাজ করে।
4/5 উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশে কার্যকর হয়েছিল সপ্তম বেতন কমিশন। সেই অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১৮ হাজার টাকা। এই আবহে সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি ছিল, এইক্রয়ড সূত্রে বেতন কমাঠামো পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিক কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে মূল্যবৃদ্ধি অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি নতুন কমিশনের অপেক্ষা না করে এই ফর্মুলাতেই মেট্রিক্স বদল করা যেতে পারে।
5/5 এর আগে দুর্গাপুজোর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে নয়া ডিএ। বর্তমানে তাদের ডিএ বেড়ে ৪৬ শতাংশ হয়েছে। এর আগে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন তারা। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও এক দফায় ডিএ বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলে সেটা কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মাঝে জোরালো হয়েছে অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি।