বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Adenovirus SOP by KMC: অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে তৎপর পুরসভা, জারি নির্দেশিকা, অভিভাবকরা জেনে রাখুন
Adenovirus SOP by KMC: অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে তৎপর পুরসভা, জারি নির্দেশিকা, অভিভাবকরা জেনে রাখুন Updated: 23 Feb 2023, 10:54 AM IST Abhijit Chowdhury অ্যাডিনোভাইরাসের জেরে কলকাতা তথা গোটা বঙ্গে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে। অ্যাডিনো ভাইরাসের জেরে গতকালই রাজ্যে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কিশোরী উর্জাসাথী রায়চৌধুরী মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারা গিয়েছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভরতি ছিল সে। এই আবহে এবার পুরকর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল পুরসভা। 1/5 পুরসভার জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে 'অ্যাডিনোভাইরাস' শব্দের নির্দিষ্ট কোনও উল্লেখ নেই। তবে শিশুদের ভাইরাল জ্বরের সংক্রমণ হলে কী করতে হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলা রয়েছে নির্দেশিকায়। নির্দেশিকায় আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক ও আশা কর্মীদের। 2/5 মেডিক্যাল অফিসারদের উদ্দেশে পুরসভার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে - শিশুদের অভিভাবকের কথা শুনে পরীক্ষা করতে হবে। বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব নাকি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, তা জানাতে হবে। এদিকে বাড়িতে রাখলে অভিভাবকদের বুঝিয়ে দিতে হবে, কী দেখে তাঁরা সতর্ক হবেন। 3/5 এদিকে নার্সদের উদ্দেশে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে - কোনও শিশুকে নিয়ে আসা হলে, তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে হবে শিশুর শারীরিক অবস্থা কতটা খারাপ। জানতে হবে, জ্বর কেমন থাকছে, খেতে অনীহা দেখা যাচ্ছে কি না, প্রস্রাবে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। রোগীর অবস্থা গুরুতর মনে হলে কোনও বিলম্ব না করেই মেডিক্যাল অফিসারকে ডেকে পাঠাতে হবে। 4/5 এদিকে আলাদা করে ফার্মাসিস্টদের উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হয়েছে পুরসভার নির্দেশিকায়। তাতে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল অফিসারদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। কোন ওষুধ কখন খেতে হবে, তা অভিভাবকদের ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া আশাকর্মী ও ল্যাবরেটরির কর্মীদেরও কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের অসুস্থতা প্রসঙ্গে জানতে হবে। 5/5 এদিকে নির্দেশিকায় অভিভাবকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, শিশু অসুস্থ হলে যেন তাকে বাড়িতে ফেলে রাখা না হয়। শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলেই কাছের কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অভিভাবকদের। শিশু অসুস্থ হলে কোনও দোকান থেকে এমনি এমনি ওষুধ কিনে খাওয়াতে বারণ করা হয়েছে নির্দেশিকায়।