বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Salman Rushdie's The Satanic Verses: ‘ইসলামের অপমান’, খুনের ফতোয়া - রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিতর্ক কোন পথে এসেছে?
Salman Rushdie's The Satanic Verses: ‘ইসলামের অপমান’, খুনের ফতোয়া - রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিতর্ক কোন পথে এসেছে? Updated: 13 Aug 2022, 09:08 AM IST Ayan Das Salman Rushdie's The Satanic Verses Controversy: শুক্রবার নিউ ইয়র্কে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয় লেখক সলমন রুশদির উপর। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। হামলার জেরে চোখও হারাতে পারেন লেখক। ইতিমধ্যে আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার কারণ অস্পষ্ট হলেও আততায়ীর প্রোফাইল থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে ওই ব্যক্তি ইরান-পন্থী। ‘দ্য ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পরে ইরানের চক্ষুশূল হয়েছিলেন রুশদি। হয়েছে বিতর্ক। কোন পথে এগিয়েছে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' বিতর্ক, তা দেখে নিন - 1/7 ‘ইসলামের অপমান’, খুনের ফতোয়া - রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিতর্ক কোন পথে এসেছে? (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি এবং রয়টার্স) 2/7 মোট ১৪ টি উপন্যাস লিখেছেন ভারতে জন্মগ্রহণ করা রুশদি। জিতেছেন বুকার প্রাইজ। তবে তাঁর চতুর্থ উপন্যাস 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-র জন্য সবথেকে বেশি বিতর্কে জড়িয়েছেন। যিনি ২০০০ সাল থেকে আমেরিকায় থাকতেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স) 3/7 ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়েছিল 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। প্রথম থেকেই সেই বই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে ইসলাম ধর্মের। সংবাদসংস্থা এএফপির তথ্য় অনুযায়ী, সর্বপ্রথম সেই উপন্যাস নিষিদ্ধ করা হয় ভারতে (১৯৮৮ সালের অক্টোবর)। ভারতে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছিল। (লন্ডনে বিক্ষোভের ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি) 4/7 ১৯৮৯ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ডে 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-র কপি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকায় উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পরে ইসলামাবাদে মার্কিন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি) 5/7 ১৯৮৯ সালে ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনেই 'ফতোয়া' জারি করেছিলেন। রুশদিকে হত্যার ডাক দিয়েছিলেন। যে রুশদিকে হত্যা করবে, তাকে পুরস্কারমূল্য দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে খামেনেইয়ের 'ফতোয়া' থেকে দূরত্ব তৈরি করেছিল ইরান। ১৯৯৮ সালে ইরান সরকার জানিয়েছিল, রুশদির বিরুদ্ধে ‘ফতোয়া’ মেনে চলা হবে না। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি) 6/7 সংবাদসংস্থা এএফপির তথ্য় অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে রুশদির জাপানি এবং ইতালিয় অনুবাদকের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার বছরদুয়েক পরে নিশানা করা হয়েছিল তুরস্কের অনুবাদককে। একটি হোটেলে তুমুল ঝামেলায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি 7/7 ২০০৫ সালে খোমেনেইয়ের উত্তরাধিকারী আলি খামেনেই ঘোষণা করেছিলেন, রুশদিকে হত্যা করার বিষয়টি ইসলামে স্বীকৃত। তারইমধ্যে ২০১২ সালে ইরানের আধা-সরকারি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আবার রুশদির মাথার দর বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সেইসময় কোনও ঝুঁকির কথা অস্বীকার করেছিলেন বিখ্যাত লেখক। তাঁর দাবি, ওই টাকায় কারও আগ্রহ নেই। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এপি)