ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকা সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার এবং তাঁদের কর্মজীবন থেকে একদিন কাটা হবে বলে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। এই আবহে এবার আন্দোলরত সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে পালটা হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
1/5ডিএ ধর্মঘটের আগের দিনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১০ মার্চ কোনও কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকী কেউ হাফ ডে ছুটিও নিতে পারবেন না। অফিস কামাই করলে তা ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ হিসেবে গণ্য করা হবে। (Saikat Paul)
2/5এই আবহে সরকারের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি, '৬ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে বেতন কেটে দেখাক বা ব্রেক ইন সার্ভিস করে দেখাক। আমরা তাঁদের পাশে আছি।' (Saikat Paul)
3/5এদিকে গতরাতে নবান্নের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার নবান্ন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সরকারি দফতরে হাজিরার হার ছিল নব্বই শতাংশের বেশি। উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনে কোন কোন সরকারি কর্মী অংশ নিচ্ছেন, সেদিকে কড়া নজর রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সরকার। কর্মচারীদের অফিসে ঢোকা এবং বেরোনোর ওপর ছিল সরকারের নজর। পাশাপাশি, সারাদিনে দু'বার হাজিরা খাতায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের। (Saikat Paul)
4/5রাজ্য সরকারের দাবি, দিনের শেষে দেখা গিয়েছে নব্বই শতাংশের বেশি হাজিরা ছিল শুক্রবার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে উপস্থিতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দফতরে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বরাষ্ট্র দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ, অর্থ দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ, পর্যটন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬.৭৬ শতাংশ, কৃষি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.২ শতাংশ, পঞ্চায়েত দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩.৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৮২.২১ শতাংশ। (Saikat Paul)
5/5এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, যদি সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের ওপরে থাকে, তবে, শহিদ মিনারে এতো সরকারি কর্মীর জমায়েত কোথা থেকে হল? আন্দোলকারীদের দাবি, সরকারের প্রকাশিত অ্যাটেনডেন্স শিট ভুয়ো। ধর্মঘট সফল হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীরা স্বতর্স্ফুত ভাবে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন। (Saikat Paul)