সাগরদিঘির এক জয়েই তৃণূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বিরোধীরা। যে রাজ্যে উপনির্বাচন মানেই শাসকদলের জয়, সেই রাজ্যে 'প্রথা' ভেঙে সাগরদিঘিতে হারের সম্মুখীন হল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভার হাওয়ায় ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে কয়েকটি আসনে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল তৃণমূল। তবে সেটা বাদ দিলে শেষবার ২০১৪ সালে শেষবার উপনির্বাচনে হেরেছিল তৃণমূল।
1/5এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেবারই শেষবার উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেবারে রাজ্যে ছিল 'মোদীর হাওয়া'। সেবারে পাঁচটি আসনে উপনির্বাচনে হেরেছিল তৃণমূল। তবে ২০১৯ সালকে বাদ দিলে শেষবার তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনে হেরেছিল ২০১৪ সালে। দক্ষিণ বসিরহাট কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি শমিক ভট্টাচার্য। এরপর এবার ২০২৩ সালে সাগরদিঘিতে হারল তৃণমূল কংগ্রেস। (PTI)
2/5২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে মাত্র ২০০০ ভোটে হেরেছিলেন বিজেপির শমীকের কাছে। পরে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের হাওয়ায় দার্জিলিং, হাবিবপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, ভাটপাড়ায়, কান্দিতে তৃণমূল জিততে পারেনি। এর মধ্যে কান্দিতে জিতেছিল কংগ্রেস। বাকিগুলিতে জিতেছিল বিজেপি। সেই উপনির্বাচনেও দিলীপ ঘোষের ছেড়ে আসা খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূল ছিনিয়ে এনেছিল। (PTI)
3/5তার আগে ২০১৬ সালে মন্তেশ্বর, ২০১৭ সালে দক্ষিণ কাঁথি ও সবং, ২০১৮ সালে নোয়াপাড়া ও মহেশতলা উপনির্বাচনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর ২০২১ সালে দিনহাটা উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছিলেন উদয়ন গুহ। সেই সময় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল খরদা, ভবানীপুর এবং শান্তিপুরেও। এই সবকটি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়দায় জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই চার আসনের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার জয়ী হয়েছিলেন। তবে সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তাঁরা। ২০২২ সালে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জিতেছিলেন বিজেপিত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়। সেই অর্থে বিজেপি থেকে এই দুই আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। তবে এবার তৃণমূলের জয়ী আসন হারল সাগরদিঘিতে। (PTI)
4/5২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি আসনে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী পয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত সাহা। তাঁর ঝুলিতে গিয়েছিল ৯৫ হাজার ১৮৯ ভোট। এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ২৪ শতাংশ বা ৪৪ হাজার ৯৮৩টি ভোট। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হাসানউজ্জামান তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ১৯.৪৫ শতাংশ ভোট। এই আসনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও প্রার্থী দিয়েছিল। তবে তেলাঙ্গানার দলটির ঝুলিতে ২ শতাংশ ভোটও যায়নি। তবে এবার অঙ্ক বদলে গিয়েছে। (PTI)
5/5এদিকে ১৯৭২ সালে শেষবার কংগ্রেস জিতেছিল সাগরদিঘির আসনে। ১৯৫১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সাগরদিঘি আসনে দাপট ছিল কংগ্রেসের। মাঝে একবার শুধুমাত্র ১৯৬৯ সালেরবিধানসভা নির্বাচনে এই আসনটি দখল করেছিল অধুনা বাংলা কংগ্রেস। তবে ১৯৭৭ সাল থেকে এই বিধানসভা আসনে এক চেটিয়া ভাবে জিততে শুরু করে সিপিএম। ১৯৭৭ এবং ১৯৮২ সালে এই আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিল হাজারি বিশ্বাস। এরপর ১৯৮৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই আসনের বিধায়ক ছিলেন সিপিএম-এর পরেশ নাথ বিশ্বাস। এরপর ২০১১ থেকে এই আসনে দাপট ছিল তৃণমূলেরই। (PTI)