বিজ্ঞানীদের মতে, ব্রিটেনে সম্ভবত শিখরে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন। আমেরিকার ক্ষেত্রেও তাই হতে চলেছে।
1/7অর্থনীতিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে - যত দ্রুত উত্থান হবে, পতনও তত দ্রুত হবে। করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিকভাবে ব্রিটেন এবং আমেরিকায় সেই বিষয়টি সামনে আসছে বলে মত তাঁদের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
2/7বিজ্ঞানীদের মতে, ব্রিটেনে সম্ভবত শিখরে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন। আমেরিকার ক্ষেত্রেও তাই হতে চলেছে। সিটেলে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি মোকদাদ বলেছেন, ‘যত দ্রুত উঠেছে, তত দ্রুত পড়বে (ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা)।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/7ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আমেরিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখে পৌঁছে যাবে। তারপর থেকে গোত্তা খেয়ে পড়বে সংক্রমণের গ্রাফ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিল মডেল অনুয়ায়ী, এমনিতে গত ৬ জানুয়ারি প্রকৃত করোনা আক্রান্তের নিরিখে শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে আমেরিকা। সেই প্রকৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ক্ষেত্রে সেই রোগীদেরও ধরা হয়েছে, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হলেও নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেননি। তার ফলে খাতায়কলমে করোনা আক্রান্ত বলে বিবেচিত হচ্ছেন না। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
4/7বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওমিক্রন এতটাই সংক্রামক যে দ্রুত প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হন। যা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই দেশে ওমিক্রন চিহ্নিত হওয়ার মাত্র মাসদেড়েক পরেই করোনার নয়া প্রজাতির সংক্রমণের গ্রাফ নামতে শুরু করেছে। মোকদাদের মতে, আমেরিকাতেও যে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ কমবে, তার কারণটাও খুব সহজ। যাঁরা সংক্রমিত হতে পারেন, ততদিনে তাঁরা সবাই আক্রান্ত হয়ে যাবেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/7তবে এখনই পুরোপুরি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নন অনেকেই। ব্রিটেনের এক অধ্যাপক পল হান্টার বলেছেন, ‘ব্রিটেনে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও নীচে নেমে গেলে আমরা বুঝতে পারব যে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছিল, এখানেও তাই হবে।’ বিশেষত বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শীতকালে ব্রিটিশদের প্রবণতা এবং ওমিক্রন রুখতে তুলনামূলক কম বিধি কার্যকরের বিষয়টিও সংক্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
6/7সেইসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মহামারীর পরিবর্তী পর্যায় কেমন হচে চলেছে, তা স্পষ্ট নয়। ব্রিটেন এবং আমেরিকায় যে সংক্রমণের বৃদ্ধি বা হ্রাসের কথা বলা হচ্ছে, তা দেশের সর্বত্র একইসঙ্গে এমনটা নয়। বরং আগামী দিনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
7/7দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাবির মাহদি জানিয়েছেন, যে ইউরোপীয় দেশগুলি আবার লকডাউন জারি করেছে, সেগুলিতে যে সার্বিকভাবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা কম হবে, এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্তের হদিশ মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)