পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে অনেকেই প্লট কেনেন কম দামে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্লটগুলি হয় কোনও পঞ্চায়েত এলাকার অধীনে। এর জন্য দামটা অনেকটাই কম পড়ে। আর সেই লোভে অনেকেই ঠিক ভাবে যাচাই বাছাই না করে তা কিনে নেন। এবং পড়ে বিপাকে পড়েন।
1/5 চাষজমি বা জলাজমি কিনলে সেখানে নির্মাণ করজে জমির 'চরিত্র বদল' করতে হয়। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাতে হয়। তবে অনেক সময় কিছু জমির জন্য 'কনভারশনে'র অনুমতি দেয় না প্রশাসন। আর সেখানেই বিপাকে পড়ে যান জমির মালিক। এদিকে পূর্ব কলতাতার জলাভূমিতে কোনও ভাবেই কনভারশনের অনুমতি দেওয়া হয় না।
2/5 এই আবহে রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুইঁঞা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, 'জমি কেনার আগে দেখে নেবেন তা ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডের মধ্যে পড়ছে কি না।' তবে কোনও জমি পূর্ব কলকাতার জলাভূমির অধীনে পড়ছে কি না, সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন? এরই সমাধানসূত্র বাতলে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
3/5 মানস ভুইঁঞা জানান, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডের খুব বিস্তারিত একটি ম্যাপ রয়েছে রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প রেভিনিউ ডিরেক্টোরেটের ই-নথিকরণ ব্যবস্থায় রয়েছে। সেখানে গিয়ে কেউ 'দাগ নম্বর' এবং 'খতিয়ান নম্বর' দিয়ে চেক করলেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। যদি সংশ্লিষ্ট জমি জলাভূমির অন্তর্গত হয়, তাহলে তা স্ক্রিনে পপ আপের মাধ্যমে দেখানো হবে।
4/5 প্রসঙ্গত, ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড আদতে আন্তর্জাতিক ভাবে সংরক্ষিত একটি এলাকা। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক নিকাশী ব্যবস্থা। এই আবহে এই এলাকার অধীনে থাকা কোনও জমিকে বাসযোগ্য জমিতে পরিণত করার অনুমতি দিতে পারে শুধুমাত্র ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই জমি 'কনভারশনে'র অনুমতি দেওয়া হয় না। ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডস কনসারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬-এর অধীনেই এই কড়াকড়ি।
5/5 এই আবহে মানস ভুইঁঞা বলেন, 'আমাদের পোর্টালে ব্যবস্থা রয়েছে যা থেকে মানুষে জানতে পারবে যে কোনও জমি ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডে রয়েছে কি না। অনেকেই কোনও যাচাই বাছাই ছাড়া জমি কিনে নেন। এই ব্যবস্থাটা তাদের মতো লোকেদের জন্যই। ইস্ট কলকাতায় ওয়েটল্যান্ডে জমি কেনা বা বিক্রি করা বেআইনি নয়। তবে সেই জমিকে বাসযোগ্য জমিতে পরিণত করা অপরাধ। আমাদের ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডকে রক্ষা করতে হবে। অনেকেই না জেনে এই কাজ করে থাকেন। তবে আমাদের পোর্টালে গিয়েই তিনি সব তথ্য জানতে পারেন।'