নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র মাধ্যমে ওপার বাংলা থেকে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে যেন পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। ক'দিন আগে এমনই পোস্ট করেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। এই আবহে এবার পুলিশে দায়ের হল অভিযোগ।
1/6 জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। মঙ্গলবার তিনি এই নিয়ো অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ট্যাগ করে তথাগত রায় দাবি তুলেছিলেন, সিএএ-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করা হোক।
2/6 এই আবহে মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, তথাগত রায়ের এহেন দাবি মতুয়া ধর্মাবলম্বীদের জন্য অপমানজনক। এদিকে তথাগত রায়ের এই পোস্টের বিরোধিতায় মঙ্গলবার দুপুরে লেক গার্ডেন্সে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল। ওদিকে তথাগত রায় কিন্তু নিজের মন্তব্যে অনড়। এই আবহে সিএএ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আরও এক হাতিয়ার চলে এসেছে।
3/6 তথাগত রায়ের বক্তব্য, নিজেকে বিতাড়িত হিন্দু শরণার্থী দাবি করা ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে সুন্নত খৎনা আছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্যেই যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সরাসরি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হল এই নেতার বিরুদ্ধে।
4/6 তথাগত রায় এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছিলেন, সিএএ-র মাধ্যমে যে সকল শরণার্থী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা পালিয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের এই দেশের নাগরিকত্ব দেখার আগে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। যদি পুরুষাঙ্গে সুন্নত খৎনা করা থাকে, তাহলে সেই পুরুষ কোন ধর্মের তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। খৎনা না থাকা পুরুষ এবং সেই পুরুষদের সঙ্গে থাকা স্ত্রীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত।
5/6 এরপরে তাঁর সেই পোস্ট নিয়ে আপত্তি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সমিরুল ইসলাম। পরে সমিরুল ইসলামের সেই পোস্টেরও জবাব দেন তথাগত রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এই নিয়ে লেখেন, 'হায় ভগবান! কী শালীনতা, কী বিনয়! পুরুষের খৎনা করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা এত বড় কথা!'
6/6 তথাগত নিজের যুক্তির সপক্ষে লেখেন, 'সিএএ-র মাধ্যমে মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়। তাই সন্দেহের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি পুরোপুরিভাবে হওয়া উচিত। অনেক বছর আগে যখন আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির হচ্ছিলাম তখন সমস্ত পুরুষদের একটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় একজন পুরুষ ডাক্তারের সামনে ডিসরোবিং অন্তর্ভুক্ত ছিল! খৎনা করা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য নয়, তবে হাইড্রোসিল আছে কিনা, তা জানতেই সেই পরীক্ষা হয়েছিল। সেই সময় কেউ আপত্তি করেনি! এখন কেন?'