বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > China Naval Base near India: ভারতের উঠোনে তৈরি বিশাল চিনা সামরিক ঘাঁটি, সামনে স্যাটেলাইট চিত্র
China Naval Base near India: ভারতের উঠোনে তৈরি বিশাল চিনা সামরিক ঘাঁটি, সামনে স্যাটেলাইট চিত্র Updated: 06 Aug 2023, 06:43 AM IST Abhijit Chowdhury কয়েক বছর আগেই লাদাখে চিনের সম্প্রসারণ নীতির সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। তবে শুধু লাদাখেই নয়, বেজিংয়ের সম্প্রসারণ নীতির উদাহরণ দেখা গিয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরেও। এই গোটা অঞ্চলকেই নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। আর সম্প্রতি ভারতের খুব কাছেই একটি সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে চিন। 1/5 এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় একটি বিশাল সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে চিন। মালাক্কা প্রণালীর খুব কাছেই অবস্থিত চিনের এই সামরিক ঘাঁটি। যা দিল্লির জন্য মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এই মালাক্কা প্রণালীর মাধ্যমেই ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চিন সাগরের যোগাযোগ বজায় রয়েছে। এই আবহে কম্বোডিয়ায় চিনা সামরিক ঘাঁটি বিশ্ব বাণিজ্যের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 2/5 উল্লেখ্য, চার বছর আগেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছিল যে কম্বোডিয়ার সঙ্গে নৌ ঘাঁটি গড়ার জন্য একটি চুক্তি করেছে চিন। আর সম্প্রতি এসেছে সেই নৌ ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, গোট এলাকাটি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে বিগত কয়েক মাসেই। থাই উপসাগরের সিহানুকভিলের খুব কাছেই তৈরি হয়েছে এই ঘাঁটি। এর জেরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বিতর্কিত এলাকার ওপর নিজেদের প্রভাব আরও বাড়াতে পারবে চিন। 3/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বা দেড় বছরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন প্রায় ১৫৭ হেক্টর জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছে সামরিক ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্যে। সেই জমিতেই বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। একটি রাডার বসানো হয়েছে। এদিকে কম্বোডিয়ার মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, সেই অঞ্চলে চিনের তরফে স্টোরেজ ফেসিলিটি এবং হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। 4/5 উল্লেখ্য, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে সেই ১৯৯৮ সাল থেকে আছেন হান সেন। তাঁর একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের জেরে কম্বোডিয়ায় মার্কিন প্রভাব কমছে। এই আবহে বিনিয়োগের জন্য চিনের দিকে তাকিয়ে কম্বোডিয়া। এই আবহে বিগত দিনে চিনের হাতে নিজের দেশের ১৫৭ হেক্টর জমি তুলে দিয়েছেন তিনি। যা কৌশলগত ভাবে চিনকে সহায্য করেছে। 5/5 এদিকে চিনের এই নয়া সামরিক ঘাঁটির দিকে কড়া নজর রয়েছে ভারতের। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিতর্কিত এলাকার ওপর যদি চিনা প্রভাব বিস্তার করে এবং সেখানে নৌঘাঁটি গড়ে ওঠে, তহলে কৌশলগত ভাবে ভারতকে ঘিরে ফেলতে পারবে বেজিং। এমনিতেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দ্ষিণ চিন সাগর। তবে সেখানার বিবাদ এবার ভারত মহাসাগরে উপচে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।