বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Coromandel Collision Probe: করমণ্ডলকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রাথমিক রিপোর্টের সাথে সহমত নন রেলের তদন্তকারী আধিকারিক
Coromandel Collision Probe: করমণ্ডলকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রাথমিক রিপোর্টের সাথে সহমত নন রেলের তদন্তকারী আধিকারিক Updated: 07 Jun 2023, 10:45 AM IST Abhijit Chowdhury করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রায় পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। এরই মাঝে রেলের তরফে দুর্ঘটনার কারণ জানতে বাহানগা স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। রুজু হয়েছে মামলা। রেলের তরফে প্রাথমিক রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। এরই মাঝে এই দুর্ঘটনায় নয়া মোড়। 1/6 করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরই সত্যি উদ্ঘাটনের জন্য কমিটি গঠন করে রেল আধিকারিকদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি প্রাথমিক রিপোর্টও পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়, বাহানগা স্টেশনের সিগন্যাল মেন লাইনের জন্য দেওয়া ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। তবে ১৭এ পয়েন্ট লুপ লাইনের জন্য 'সেট' করা হয়েছিল। 2/6 তবে এবার এই প্রাথমিক রিপোর্টের বিরোধিতা করলেন রেলের তদন্তকারী দলেরই এক সদস্য। এই আবহে তদন্তকারী দাবি করেন, ডেটাব্লগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে ১৭এ পয়েন্টটি মেনলাইনের দিকেই ছিল এবং সেটি লুপ লাইনের জন্য 'সেট' করা ছিল না। উল্লেখ্য, করমণ্ডলকে পাস করানোর জন্য বাহানগার বাইরে লুপ লাইনে দাঁড় করানো ছিল মালগাড়ি। করমণ্ডলের যাওয়ার কথা ছিল মেন লাইন দিয়ে। তবে করমণ্ডল লুপ লাইনে ঢুরে পড়ায় বিপত্তি ঘটে। 3/6 এই আবহে মনে করা হচ্ছিল যে সিগন্যাল মেন লাইনের দিকে দেওয়া থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে ছিল। ইন্টালকিং ব্যবস্থায় গলদের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছিল। তবে এরই মাঝে রেলের আধিকারিক দাবি করলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে সেট করা হয়ে থাকতে পারে। 4/6 এই আবহে নতুন করে ধন্দ দেখা দিয়েছে এই দুর্ঘটনা নিয়ে। এদিকে রেলের সেই আধিকারিকের সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন রেল মন্ত্রকের বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিকও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'পয়েন্ট নিয়ে সেই রেল আধিকারিক যেটা বলেছে, সেটাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ ইন্টারলকিং ব্যবস্থা এভাবেই কাজ করে। মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের জন্য সেট করা যায় না।' 5/6 উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। 6/6 প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের গলদে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। তবে যদি পয়েন্ট লুপ লাইনের জন্য সেট না করা হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল?