মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সফরে গিয়েছিলেন। তাঁর সফরকালেই সেই জেলায় ভাঙন তৃণমূল শিক্ষা সেলে। এই ভাঙন ঘিরে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। কয়েকদিন আগেই সরকারি কর্মীদের 'চোর-ডাকাত' আখ্যা দিয়েছিলেন মমতা। এবার তাঁর জেলা সফরকালেই পালটা পদক্ষেপ শিক্ষকদের।
1/6 জানা গিয়েছে, হলদিয়ায় সুতাহাটা জয়নগর হাইস্কুলের ২৩ জন শিক্ষক একসঙ্গে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে। তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা গত ১০ মার্চের ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে পড়াতে আসেননি বলে জানা গিয়েছে। কাজে না আসার জন্য শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছিল ওই শিক্ষকদের।
2/6 ইস্তফা প্রসঙ্গে জয়নগর হাইস্কুলের শিক্ষক তাপস কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষক সেলের কোনও পদক্ষেপ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। সেই কারণেই শিক্ষক সেলের সদস্যপদ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, 'মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। শিক্ষক সেল এই আন্দোলনে যোগ নিলে বা পদক্ষেপ করলে ভালো হত।'
3/6 এদিকে এই বিষয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র সাউ বলেন, ' পদত্যাগকারীরা কিছু মন্তব্যে আঘাত পেয়েছেন। তবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে আমাকে যুক্ত থাকতে হয়। তাই আমি সহমর্মী হলেও কিছু করতে পারছি না।'
4/6 এদিকে গত মার্চ মাসে রেড রোডে মমতার ধরনা মঞ্চ থেকে 'চোর-ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি কর্মীরা। তবে আজকের যেসব স্কুলে আজ পরীক্ষা রয়েছে এবং জরুরি পরিষেবাকে এই কর্মবিরতির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
5/6 বর্তমানে ৬ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল মমতার সরকার। এরপর এবারের বাজেটে আরও ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বেড়েছে আরও। এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৬ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের দাবিতে অনড়।
6/6 এদিকে আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীরা তাঁদের জন্য সময় বরাদ্দ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।