তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছে হাতে ফাইল নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অভিনেতা-সাংসদ নুসরত জাহান। তবে সেখানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে খাপ্পা হয়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে আজ ইডির অফিসে হয়ত সেই একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে নুসরতকে।
1/5 ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সকাল ১১টায় ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল নুসরত জহানকে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে যান তিনি। তাঁর হাতে ফাইল ভরতি নথি ছিল এদিন। এর আগে গতকাল আলিপুর জজ কোর্টে এই প্রতারণার মামলাতেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহানের হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাননি। তবে আজ নুসরত ইডি দফতরের সামনে জানান, তদন্তে তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন।
2/5 নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠকে নুসরত দাবি করেন, তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, পরে তা শোধও করেছেন। নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে কেন একটি কোম্পানির তরফ থেকে ঋণ নিলেন? এ কথা শুনে চটে গিয়ে বৈঠক স্থল ছেড়েছিলেন তিনি। আর আজও নুসরতকে এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। হয়ত এর থেকেও অনেক কঠিন প্রশ্ন অপেক্ষা করে আছে তাঁর জন্য। আর আজ প্রশ্নকর্তা হবেন ইডি কর্তারা।
3/5 জানা গিয়েছে, অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করার পর তৃণমূল সাংসদ নুসরতকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই মামলার বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ নাকি তদন্তকারীদের কাছে আছে। সূত্রের খবর, তিন পাতার প্রশ্ন মালা তৈরি করা হয়েছে নুসরতের জন্য। কোম্পানির ডিরেক্টর হওয়ার সময়কার নথি চাইতে পারে ইডি। এদিকে নুসরত যে ঋণ নেওয়ার দাবি করেছেন, তাতে কত হারে সুদ দিয়েছেন, তাও আজ জানতে চাইবে ইডি।
4/5 তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৪ সালে তাঁর সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। যদিও প্রায় ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর আজও ফ্ল্যাট পাওয়া যায়নি। সেই সময় নাকি নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে এই ৪২৯ জনকে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মোট ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।
5/5 দাবি কর হয়, নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘সেভেন সেন্সেস’ নামে সংস্থার থেকে নুসরত কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন এবং সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। যদিও নুসরতের দাবি ছিল, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের পরে সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন নুসরত।