বিচারপতি থাকাকালীন একের পর এক মামলায় শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। এহেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। নিজেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি বিজেপিতে যাবেন। এই আবহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
1/5 নিজের কর্মজীবনে দীর্ঘদিন আইনজীবী থাকার পর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৫ বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করার পর এখন তিনি রাজনীতির ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি হিসেবে বিগত কয়েক বছরে 'ভগবান'-এর তকমা পেয়েছিলেন অভিজিৎ। আর নিরপেক্ষতার সেই আসন ছেড়ে এখন তিনি গেরুয়া শিবিরের পথে পা বাড়িয়েছেন।
2/5 এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যয়। পাশাপাশি অভিজিতের বড় দাবি, ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের এই সরকার টিকবে না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূল নেতারা যেভাবে তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন, সেটাই তাঁকে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
3/5 রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্যে আমি খুবই কম সময় পেয়েছি। আমি বিজেপির সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলি। বিজেপিও আমাকে প্রস্তাব দেয়। গত ৭ দিন ধরে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর জন্যে আমি এই সময়ে ছুটিতে ছিলাম। আমি কোনও মামলা শুনিনি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আমার দিকে আঙুল না তুলতে পারে, তার জন্যেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
4/5 এদিকে গতকাল নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'তাঁকে 'দুষ্কৃতীর বেশি কিছু মনে করি না'। অভিজিতের কথায়, অভিষেকের নামকে তিনি 'অপভাষা' মনে করেন। এই আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম একবারের জন্যেও মুখে নেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে গতকাল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, ডায়মন্ড হারবারে যদি তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি, তাহলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে লাখ-লাখ ভোটে দাঁড়িয়ে দেবেন।
5/5 এদিকে তৃণমূলের বর্তমান 'দশা' নিয়ে বলতে গিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস ভিতরে ভিতরে খোকলা হয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে সিপিএম যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, তৃণমূল সেই অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এক-দু'জন গ্রেফতার হলেই তৃণমূল কংগ্রেস শেষ হয়ে যাবে।' এরপর প্রাক্তন বিচারপতি দাবি করেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত বর্তমান রাজ্য সরকার টিকবে না।