এলিয়েনদের মমি, এলিয়েনদের মমি - গত বছর অক্টোবরে আচমকা সেই বিষয়টা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্নরকম দাবি করা হচ্ছিল। তবে যাবতীয় এলিয়েন তত্ত্ব খারিজ করে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। পুরোটা যে গাঁজাখুরি গল্প ছিল, তা বলে দিলেন তাঁরা।
1/5 পেরুতে যে 'এলিয়েন মমি' তত্ত্ব নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল, তা খারিজ করে দিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের পরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন যে গত বছর অক্টোবরে পেরুর রাজধানী লিমার বিমানবন্দরে যে একজোড়া 'এলিয়েন মমি' পাওয়া গিয়েছিল, তা আদতে পৃৃথিবীর প্রাণীদের হাড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর তাতে মানুষের হাড়ও আছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
2/5 শুক্রবার পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে পেরুর ইনস্টিটিউট ফর লিগ্যাল মেডিসন অ্যান্ড ফরেন্সিক সায়েন্সের প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্লাবিও এসত্রাদা বলেন, ‘ওগুলো বহির্জগতের নয়। বরং ওগুলি আদতে পুতুল, যেগুলি আধুনিক সিন্থেথিক আঠা দিয়ে এই গ্রহেরই প্রাণীদের হাড় জুড়ে তৈরি করা হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওটা পুরোপুরি বানানো গল্প।’ (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
3/5 বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই দুটি পুতুল মানুষের শরীরের আকৃতির ছিল। সম্ভবত মানুষ এবং প্রাণীর হাড় দিয়ে ওই পুতুল তৈরি করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে পেরুর নাজকা অঞ্চল থেকে যে তিন আঙুলের একটি হাত পাওয়া গিয়েছিল, সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেটার সঙ্গেও ভিনগ্রহীদের কোনও যোগ থাকার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
4/5 গত বছর লিমা বিমানবন্দরের একটি কুরিয়ার সংস্থার অফিস থেকে দুটি প্রস্তরমূর্তি উদ্ধার করা হয়েছিল। যা একটি বিশেষ ঐতিহ্যশালী পোশাকে মমির মতো সাজানো ছিল। তারপরই একাধিক মহলে গুজব ছড়াতে শুরু করেছিল যে সম্ভবত ভিনগ্রহীদের 'মমি' ছিল। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে আবার ‘প্রমাণ’ দেওয়া হতে থাকে। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 গত বছর সেপ্টেম্বরে দুটি ছোট মমির মতো দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তা মেক্সিকোর কংগ্রেসের শুনানির সময় দেখানো হয়েছিল। ওই দুটি মূর্তির মাথা বেশ বড় ছিল। হাতে ছিল তিনটি আঙুল। তা নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। মেক্সিকোর সাংবাদিক তথা নিজেকে ভিনগ্রহী বিশেষজ্ঞ জাইমে মউসান দাবি করেছিলেন যে সেগুলি ১,০০০ বছরের পুরনো ছিল এবং ২০১৭ সালে পেরু থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। যদিও অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ সেই তথ্য খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে পুরোটা বানানো কাহিনি। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)