বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Hooghly River Water Level Drops: জলস্তর নামছে হুগলি নদীর, প্রবল গরমে এবার নয়া সংকটের মুখে তিলোত্তমা
Hooghly River Water Level Drops: জলস্তর নামছে হুগলি নদীর, প্রবল গরমে এবার নয়া সংকটের মুখে তিলোত্তমা Updated: 30 Apr 2024, 10:36 AM IST Abhijit Chowdhury তীব্র দাবদাহের আবহে নেমে গিয়েছে হুগলি নদীর জলস্তর। এই আবহে জল সংকটের মুখে পড়তে পারে কলকাতা। জানা গিয়েছে, শহরের জল প্রকল্পের যেখান থেকে জল তোলা হয়, সেখানে জোয়ার ছাড়া আর জল তোলা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই শহরবাসীর কাছে জল অপচয় না করার আর্জি জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 1/5 কলকাতার পরিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবল গরমে এপ্রিল মাসে মোট ৯ দিন শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। আর তার মধ্যে হুগলি নদীর জলস্তর নেমে গিয়েছে। আর তাই শহরবাসীদের জল অপচ করতে বারণ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 2/5 ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা সর্বত্র পানীয় জল সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখার চেষ্টা করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা নিয়মিত চালানো সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই জলের অপচয় রুখতেই হবে।' তিনি জানান, রাস্তার ও বাড়ির কলের মুখ বন্ধ রাখতে হবে, বাড়ির জলের পাইপলাইন যেন লিক না থাকে, ট্যাংক যেন ওভার ফ্লো না হয়। 3/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, খিদিরপুরের তক্তা ঘাটে হুগলি থেকে পর্যাপ্ত জল তোলা সম্ভব হয়নি কয়েক দিন। অবশ্য, পলতায় জল প্রকল্পটি এমনভাবে তৈরি সেটি জোয়ার এবং ভাটার সময় খুব একটা জলস্তরের পরিবর্তন হয় না। তবে এর মধ্যেও গত দুই সপ্তাহে সেখানে জল তুলতে সমস্যা হয়েছে কয়েকদিন। তবে এর জন্যে উত্তর কলকাতায় হয়ত তেমন জলের সংকট দেখা দেবে না। তবে সম্প্রতি পানিহাটিতে জলসংকট দেখা দিয়েছে। ওদিকে দক্ষিণ কলকাতায় নানান জায়গায় জলের সংকট দেখা দিতে পারে। 4/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলি নদীর বিভিন্ন জায়গায় চড়া পড়েছে। গরমের জেরে অনেক জায়গায় নদীর জলস্তর নেমে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছিল। কলকাতাতেও কি তবে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে? 5/5 এই নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'গরমে পানীয় জলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। মানুষকে বেশি করে জল খেতে হয়। দিনে একাধিকবার স্নান করতে হয়। ফলে জল বেশি লাগে। কিন্তু প্রচন্ড গরমে গঙ্গার জলস্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে জল উৎপাদন কমছে। শহরবাসীকে পর্যাপ্ত জলের যোগান দেওয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমরা বিভিন্ন জায়গায় জল সঞ্চয় করছি। সেখান থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনও পর্যন্ত সেভাবে শহরের কোথাও জলের হাহাকার তৈরি হয়নি। কিন্তু জল অপচয় বন্ধ না হলে অচিরেই সমস্যা তৈরি হতে পারে।'