কানাডার ওন্টারিওতে সম্প্রতি নগরকীর্তনের এক মিছিলে খলিস্তানি 'ব্যানার' দেখা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল। আর তারপরই কানাডার উদ্দেশে কড়া ভাষা প্রয়োগ করলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল।
1/5 গতবছর কানাডার ওন্টারিও একটি নগরকীর্তন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলে খলিস্তানি ব্যানার দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাংবাদিকদের তরফ থেকে। এই আবহে দিল্লির স্পষ্ট বার্তা, এভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে হিংসা উদযাপন করা ঠিক নয়। পাশাপাশি কট্টরপন্থাকে বাড়তে দেওয়াও উচিত নয়।
2/5 রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে হিংসাকে গৌরবের চোখে দেখা এবং তা উদযাপন করা ঠিক নয়। একটি গণতন্ত্রিক দেশের আইনের শাসন মেনে চলা উচিত এবং বাকস্বাধীনতার নামে এই ধরনের কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।'
3/5 ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'কানাডায় যেভাবে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীরা হিংসাত্মক মনোভাব ফুটিয়ে তোলে, তা নিয়ে সেদেশের সরকারের কাছে আমরা বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।'
4/5 উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ের সেই ৬ কিমি দীর্ঘ মিছিলে একটি 'ব্যানার' ছিল। তাতে দেখানো হয়, মোদী কারাগাগে আছেন। অপর এক ব্যানারে 'খলিস্তানের মানচিত্র' ছিল। সেই মিছিলে দল খালসার পরমজিৎ মন্ড এবং অবতার সিং পান্নু ভারত বিরোধী বক্তব্যও রাখে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গতবছর এক ট্যাবলোতে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড তুলে ধরেছিল কানাডার খলিস্তানিরা।
5/5 কানাডার টরন্টোতে শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে জাস্টিন ট্রুডোর বক্তৃতার সময়ে উঠেছিল খলিস্তানপন্থী স্লোগান। সেই সময় আবার 'পাশে থাকার' বার্তা দিয়েছিলেন ট্রুডো। এই আবহে দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে। ভারত সাফ কথায় জানিয়ে দেয়, এই ধরনের ঘটনায় ভারত-কানাডা সম্পর্কে চিড় ধরছে। পরে বিবৃতি দিয়ে ভারত বলে, 'বারবার উদ্বেব প্রকাশ সত্ত্বে এই ধরনের বিরক্তির ঘটনা থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে না। এর থেকেই স্পষ্ট কানাডার রাজনৈতিক পরিসরে বিচ্ছিনতাবাদীদের কতটা জায়গা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় ভারত-কানাডা সম্পর্কে ছেদ পড়ছে। এতে হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।'