ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক রফতনি খাতে মোট ৭টি সমস্যা ছিল। এই সতটি সমস্যর মধ্যে ৬টির সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছিল গত জুন মাসেই। মোদীর মার্কিন সফরকালেই সেই সমস্যাগুলির সমাধানসূত্র বের করতে সক্ষম হয়েছিল দুই দেশ। তবে একটি অন্তিম সমস্যা রয়েই গিয়েছিল। গতকাল সেই সমস্যাও মিটল।
1/5 আমেরিকা থেকে ভারতে মুরগি ও ডিম আমদানি করা নিয়ে আপত্তি ছিল দিল্লির। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ যাতে এদেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই আশঙ্কা থেকেই এই আপত্তি। তবে সেই সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক রফতানি খাতে এটাই ছিল সপ্তম এবং অন্তিম সমস্যা। এর আগের ৬টি সমস্যাই দূর হয়েছিল মোদীর মার্কিন সফরকালে। তবে মুরগি ও ডিমের এই সমস্যা দূর হল এবার।
2/5 ভারত ও আমেরিকার যৌথ বিবৃতিতে এই নিয়ে বলা হয়েছে, 'ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গনাইজেশন সম্পর্কিত সপ্তম ও অন্তিম সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে এসেছে। এই আবহে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসেই ডাব্লুটিও সংক্রান্ত বাকি ৬টি সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে এসেছিল।'
3/5 উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৯ জুলাই একটি গ্যাজেট নোটিফিকেশন জারি করে আমেরিকা থেকে মুরগি ও ডিম আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। এরপর ২০১২ সালে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল আমেরিকা। এছাড়াও ভারত ও আমেরিকা একে অপরের বিরুদ্ধে আৎও ৬টি বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই সব সমস্যার বা অভিযোগের সমাধানসূত্র এর আগেই আলোচনার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছিল। তবে এই মুরগি ও ডিমের সমস্যার সমাধানসূত্র আটকে ছিল কিছু কারণে।
4/5 প্রসঙ্গত, জি২০ সম্মেলনের আগে গতকাল দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই বৈঠকের পরই যৌথ বিবৃতিতে এই সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসা নিয়ে জানানো হয় দুই দেশের তরফে। এদিকে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মোদী জানান, একাধিক বিষয় নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দু'দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর দাবি, বিশ্বের মঙ্গলের জন্য ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব খুবই প্রয়োজনীয়।
5/5 সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ মোদী একটি পোস্টে লেখেন, 'সাত লোক কল্যাণ মার্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দ বোধ করছি। আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যা ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আর্থিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।'