বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Indian Army in Ladakh: সীমান্তে 'দাবার খেলায়' চিনকে মাত ভারতের, শীতের আগে লাদাখে বড় পদক্ষেপ সেনার
Indian Army in Ladakh: সীমান্তে 'দাবার খেলায়' চিনকে মাত ভারতের, শীতের আগে লাদাখে বড় পদক্ষেপ সেনার Updated: 29 Sep 2023, 10:51 AM IST Abhijit Chowdhury আকসাই চিনে সম্প্রতি পিএলএ-র গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই আবহে লাদাখেও ভারতীয় সেনার তৎপরা দেখা গিয়েছে। চিনা চোখ রাঙানি এড়িয়ে যাতে দৌলত বেগ ওল্ডিতে সেনা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য নয়া সড়ক তৈরি হচ্ছে। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরির কাজও শুরু হয়েছিল। 1/8 বিগত বেশ কয়েক ভারত ও চিনের মধ্যকার সম্পর্কে চিড় ধরেছে। লাদাখ থেকে অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই আবহে লাদাখ সীমান্তে একাধিকবার বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই আবহে লাদাখের যে জায়গাগুলো নিয়ে সংঘাত রয়েছে, সেখান পর্যন্ত অনায়াসে সেনা পৌঁছে দিতে নয়া সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত এই সড়ক চলে যাবে। 2/8 আগে দৌলত বেগ ওল্ডির এই আউটপোস্টে সেনা পৌঁছে দিতে বায়ুপথই ভরসা ছিল। এছাড়া দরবুক হয়ে যে রাস্তাটা দৌলত বেগে যেত, তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সরাসরি দেখা যেত। এর ফলে ভারত কৌশলগত ভাবে পিছিয়ে ছিল। তবে নয়া যে সড়ক তৈরি হচ্ছে, তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দেখা যাবে না। এর ফলে লাল ড্রাগনের রক্তচক্ষু এড়িয়েই ভারত নিজের প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ করতে পারবে। 3/8 এই সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব রয়েছে বর্ডার রোড অর্গনাইজেশনের ওপরেই। জানা গিয়েছে, শীতকাল শুরুর আগে নভেম্বরেই এই নয়া সড়ক তৈরির কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে বর্তমানে দৌলত বেগ ওল্ডির ওখানে ২০০০ শ্রমিক দিনরাত কাজ করে চলেছে। এই নয়া সড়কটি করে সসোমা এবং মুরগো থেকে দৌলত বেগ ওল্ডিতে যাওয়া যাবে। 4/8 নয়া রুটটি নুরবা নদীর পার থেকে সসোমা থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি ১৩১ কিমি দূরে। সসোম থেকে শুরু হয়ে রাস্তাটি সাসের লা এবং সাসের ব্রংসা হয়ে শায়ক নদীর ওপর দিয়ে পার করবে। সেখানে মুরগো থেকে আসা রাস্তার সঙ্গে মিলবে এটি। এরপর সেটি গপশান হয়ে দৌলত বেগ ওল্ডিতে পৌঁছবে। এই সড়ক পথে শায়ক নদীর ওপর যে সেতুটি আছে, সেটি ৩৪৫ মিটার লম্বা হবে। এর আগে লেহ থেকে দরবুক হয়ে শায়ক নদীর তীর দিয়ে একটি সড়ক গিয়েছিল দৌলত বেগ পর্যন্ত। তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে স্পষ্ট দেখা যেত। 5/8 এদিকে চিনের চোখরাঙানি থামাতে বিশ্বের উচ্চতম সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে ভারত। লাদাখের নিওমি-তে তৈরি হবে এই বিমানঘাঁটি। এই বিমানঘাঁটি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন। জানা গিয়েছে, নিওমে এই বিমানঘাঁটি তৈরি করতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। এই বিমানঘাঁটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হবে। উল্লেখ্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরে তৈরি হচ্ছে এই বিমানঘাঁটি। এটি প্যানগং লেকের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। 6/8 এদিকে এই সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরি হলে লাদাখ সীমান্তে মোতয়েন সেনাকর্মীদের রসদ ও অস্ত্র সরবরাহ আরও অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি এই বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ওঠা নামা করতে পারায় চিনের গতিবিধির ওপর নজরদারিও চালানো যাবে। প্রয়োজনে আগ্রাসী চিনকে জবাবও দেওয়া যাবে এখান থেকেই। সম্প্রতি আকসাই চিনে চিনের গতিবিধি বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত ভাবে এই বিমানঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে। 7/8 উল্লেখ্য, বহু দশক আগেই ভারতের থেকে আকসাই চিন ছিনিয়ে নিয়েছিল বেজিং। এত বছর ধরে অবৈধ ভাবে সেই ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে তারা। আর বিগত কয়েক বছরে লাদাখের আরও বহু জায়গায় চিনা আগ্রাসন দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে আসাই চিনে নতুন করে পিএলএ-র গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি ম্যাক্সার-এর উপগ্রহ মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, আকসাই চিন এলাকায় মাটির নীচে বাঙ্কার তৈরি করেছে চিনা সেনা। 8/8 কোনও মিসাইল হামলার ক্ষেত্রে যাতে তাদের সামরিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা চিন। তবে হামলা করবে কে? ভারত চিরকালই শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে। হামলা না হলে নিজে থেকে আক্রমণ ভারত করবে না। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি চিন নিজেই হামলার ছক কষছে? উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটর জুড়ে ৬টি জায়গায় গড়ে উঠেছে এই ধরনের বাঙ্কার। এই আবহে কৌশলগত দিক থেকে বেজিংকে টেক্কা দিকে লাদাখে সড়ক এবং বিমানঘাঁটি তৈরি করছে ভারত।