বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ONGC exploration in South China Sea: বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তেলের খোঁজ করবে ONGC
ONGC exploration in South China Sea: বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তেলের খোঁজ করবে ONGC Updated: 20 Aug 2023, 06:57 AM IST Abhijit Chowdhury দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে একাধিক দেশের দাবির অন্ত নেই। এই বিতর্কিত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া চিন। 'ইতিহাসের' দোহাই দিয়ে এই অঞ্চলের ছোট ছোট দেশগুলির ওপর খবরদারি চালাতে চায় বেজিং। আর এই দক্ষিণ চিন সাগরেই তেলের খোঁজ করবে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। 1/5 দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং সাগরে নিজেদের অর্থনৈতিক জোনের পরিসর বৃদ্ধি করতে বিগত দিনে একাধিক কৃত্তিম দ্বীপ তৈরি করেছে চিন। এই নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে দ্বন্দ রয়েছে বেজিংয়ের। ভিয়েতনামের সঙ্গেও এই নিয়ে চিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই আবহে এবার দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থারে তেলের খোঁজ করার অনুমতির সময়সীমা বৃদ্ধি করল ভিয়েতনাম। 2/5 দক্ষিণ চিন সাগরে 'ব্লক ১২৮' অঞ্চলে আরও তিন বছরের জন্য তেলের খোঁজ চালাতে পারবে 'ওএনজিসি বিদেশ'। ২০২৬ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই নিয়ে অষ্টমবারের জন্য এই অঞ্চলে ওএনজিসিকে তেলের খোঁজ করার অনুমতির মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভিয়েতনাম সরকার। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এর একটি বার্তায় ওএনজিসির তরফে লেখা হয়েছে, 'দৃঢ়তার সঙ্গে এই অঞ্চলের কৌশলগত উন্নয়নের জন্য কাজ করবে ভারত।' 3/5 উল্লেখ্য, ভারত সরকারের অধীনে থাকা অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের বৈদেশিক বিনিয়োগ শাখা হল এই 'ওএনজিসি বিদেশ'। এই আবহে দক্ষিণ চিন সাগরে ওএনজিসি-কে তেল খুঁজতে দেওয়ার অনুমতির মেয়াদ বৃদ্ধি ভারতের জন্য কূটনৈতিক জয়। অতীতেও এই অঞ্চলে চিনকে কূটনৈতিক ভাবে টেক্কা দিয়েছে ভারত। এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। 4/5 এদিকে এই গোটা দক্ষিণ চিন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে বেজিং। এই আবহে অন্যদের সার্বভৌমত্বের তোয়াক্কা না করেই একাধিক পদক্ষেপ করে চিন। এই অঞ্চলে ক্রমেই নিজেদের সামরিক উপস্থিতিও বৃদ্ধি করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। যার জেরে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েক বছরে। 5/5 এদিকে দক্ষিণ চিন সাগরের যে 'ব্লক ১২৮'-এ ওএনজিসি তেলের খোঁজ করবে, তার একটা বড় অংশ চিন নিজেদের বলে দাবি করে। অর্থাৎ, সেখানে তেল বা কোনও খনিজ পদার্থ মিললে তা চিন নিজেদের বলে দাবি জানাবে। এদিকে দক্ষিণ চিন সাগর বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকা দিয়ে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এই এলাকার ওপর দাবি জানিয়ে আসে ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ানও।