আরও একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বিগত দিনে ব্রিটেনের প্রধনমন্ত্রী হয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাছাড়া বিশ্বের বহু দেশেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন বা সামলাচ্ছেন।
1/5 সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী থারমান শানমুগারাতনাম সেদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ৭০.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হলেন ৬৬ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিবিদ তথা অর্থনীতিবিদ। আগামী ৬ বছরের জন্য এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন থারমান। বর্তমানে সেদেশের শাসকদলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অবশ্য সরব হয়েছে বিরোধীরা। তবে নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়েছেন থারমান।
2/5 সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের জায়গায় সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন থারমান। উল্লেখ্য, ভারতেরই মতো সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদটি মূলত আলংকারিক। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব সামলাতে হয়। আর্থিক রিজার্ভ দেখভাল করেন প্রেসিডেন্টই। এদিকে থারমান নিজে অর্থনীতিবিদ হওয়ায় সেই কাজে সুবিধা হতে পারে। এদিকে দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অনুমোদন দিয়ে থাকেন প্রেসিডেন্টই।
3/5 সিঙ্গাপুরের সংবিধান মতে, প্রেসিডেন্টের পদটি নির্দলীয় সাংবিধানিক পদ। এর আগে সিঙ্গাপুরের ক্ষমতাসীন পিএপি-এর সদস্য ছিলেন থারমান। তিনি মন্ত্রিসভায় বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে এসেছেন বিগত দিনে। তবে রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে লড়াই করার জন্য তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর জয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত পিএপি স্বস্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
4/5 থারমানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে ছিলেন সেদেশের অপর এক অর্থনীতিবিদ তথা বৈদেশিক রিজার্ভ সংস্থা 'জিআইসি'-র বিনিয়োগ কর্তা কোক সং এবং সেদেশের বিমাপ্রতিষ্ঠান এটিইউসি ইনকামের প্রাক্তন প্রধান তান কিন লিয়ান। তবে তাঁদের দু'জনের কেউই থারমানকে টেক্কা দিতে পারেননি সেভাবে। ৭০.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিবিদ।
5/5 এদিকে ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুর স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই সেদেশের ক্ষমতায় রয়েছে পিএপি। বর্তমানে পিএপির নেতা লি সিয়েন লুং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। থারমানও এই দলেরই সদস্য ছিলেন। এদিকে থারমানের জন্ম হয়েছিল সিঙ্গাপুরেই। তাঁর বাবারও জন্ম সেদেশেই। ২০০১ সালে তিনি পিপলস অ্যাকশন পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। হার্ভার্ড, কেমব্রিজ এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।