শীঘ্রই নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাকাশে একটি স্যাটেলাইট পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কি 'নজরদারি' চালানো হবে? এই প্রশ্নের জবাব দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাহলে কি জন্যে এই 'বিশাল বড়' কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে?
1/5 ইসরো-নাসা যৌথ মহাকাশ অভিযান প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানালেন, পৃথিবীর স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে অধ্যয়ন করার লক্ষ্যেই এই স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে পৃথিবীর ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তা খতিয়ে দেখে বিশ্ব উন্নয়নের জেরে এই কৃত্রিম অ্যাপারচার ব়্যাডার উপগ্রহ তৈরি করেছে ইসরো এবং নাসা।
2/5 এস সোমনাথ বলেন, 'জিএসএলভি রকেটের পরবর্তী অভিযানটি হতে চলেছে নিসার মিশন। নাসা এবং ইসরোর সিন্থেটিক অ্যাপারচার ব়্যাডার মিশন এটা। এই উপগ্রহটি অনেক বড়। রকেটের কনফিগারেশন এবং পেলোড ধারণের ক্ষমতার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে তা অত্যন্ত কার্যকর হতে চলেছে আমাদের জন্য।'
3/5 উল্লেখ্য, গতকালই GSLV F14 রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় INSAT-3DS স্যাটেলাইট। এই GSLV F14 রকেটের ডাকনাম আবার 'নটি বয়' বা 'দুষ্টু ছেলে'। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় রকেটটিকে। সেই সফল উৎক্ষেপণের পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসরো প্রধান। সেই সময়ই নাসা ও ইসরোর যৌথ অভিযান নিয়ে কথা বলেন তিনি।
4/5 উল্লেখ্য, গতকালকের উৎক্ষেপণটি জিএসএলএভি এফ১৪ রকেটের ১৬তম মিশন ছিল। কেন জিএসএলএভি এফ১৪ রকেটের নাম 'দুষ্টু ছেলে'? এর আগে একাধিক মিশনে বেশ কয়েকবার ধাক্কা খেয়েছিল এই রকেট। এই রকেটের সাফল্যের হার ৬২.২৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত যে ১৫টি মিশনে এই রকেট পাড়ি দিয়েছে, তার মধ্যে ৬টি মিশনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর জেরেই এই রকেটের নাম 'নটি বয়' দিয়েছিলেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান।
5/5 এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে শেষবারের মতো মিশনে গিয়েছিল জিএসএলএভি এফ১৪ রকেট। সেই মিশনটি সফল ছিল। তাতে কোনও সমস্যাই দেখা দেয়নি। তবে এর আগের যে মিশন ছিল, তাতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল জিএসএলএভি এফ১৪ রকেট। এবং সেই মিশনটি সফল হয়নি। তবে এবারের মিশনটি সফল।