বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > JU Student Death Internal Report: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু হয়েছিল কেন? জমা পড়ল 'বিস্ফোরক' অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট
JU Student Death Internal Report: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু হয়েছিল কেন? জমা পড়ল 'বিস্ফোরক' অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট Updated: 26 Aug 2023, 10:11 AM IST Abhijit Chowdhury যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটি নিজেদের রিপোর্ট জমা দিল। অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে শুক্রবর জমা পড়ে সেই রিপোর্ট। সেখানেই ৯ অগস্টের ঘটনার কারণ এবং হস্টেল সম্পর্কে বলা হয়েছে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। 1/5 বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৯ অগস্টের ঘটনায় ব়্যাগিং করা হয়েছিল মৃত ছাত্রকে। সেই কারণেই তার মৃত্যু হয়। কারণ ব়্যাগিংয়ের জেরে মাসনিক চাপে ছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের সেই ছাত্র। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের 'ব্যর্থতার' বিষয়টি উল্লেখ করা হয় সেই রিপোর্টে। এদিকে এই রিপোর্ট অন্তর্বর্তী বলে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। 2/5 এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হস্টেলে ব়্যাগিং নিয়মিত হয়ে থাকে। অভিযোগ জমা পড়লেও তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ সেভাবে পদক্ষেপ করে না। তাই এই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টেই। এদিকে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, তিনি শুক্রবার অন্য বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন, তাই রিপোর্টটি দেখে উঠতে পারেননি। 3/5 উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ছাত্রকে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ১০ অগস্ট তার মৃত্যু হয়। এরপর ১১ অগস্ট মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুজু হয়েছিল খুনের মামলা। সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং রেজিস্ট্রারকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। 4/5 এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পরপর গ্রেফতারি হয়েছে। জেরা চলছে। এগিয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, ইন্ট্রোর নামে যাদবপুরের বাংলা বিভাগের সেই পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করে সিনিয়রদের ঘরে ঘরে ঘোরানো হয়েছিল। পাশাপাশি যখন সিনিয়রদের ঘরে সেই পড়ুয়াকে ঘোরানো হচ্ছিল, তখন মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল তাকে। করা হয়েছিল কুরুচিকর সব প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌরভ সহ বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 5/5 এদিকে এই ঘটনায় ধৃত মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত দাবি করেছেন তারা নিজেরাই ব়্যাগিংয়ের শিকার। ধৃত দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্যদিকে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। মনোতোষ সমাজবিজ্ঞান ও দীপশেখর অর্থনীতির ছাত্র। দুই ধৃত পড়ুয়াই আদালতে কাউন্সেলিংয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। এদিকে ধৃত দীপশেখরের বাবার মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, 'কোনও হস্টেলে থাকতে গেলে র্যাগিং-এর শিকার হতেই হয়। প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তো তাঁর ব্যাপার।'