বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Justice Abhijit Ganguly: 'ন্যায়বিচারের পথে…', 'নিয়মের বাইরে' গিয়ে শিক্ষিকাকে বদলির রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Justice Abhijit Ganguly: 'ন্যায়বিচারের পথে…', 'নিয়মের বাইরে' গিয়ে শিক্ষিকাকে বদলির রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের Updated: 08 Sep 2023, 07:22 AM IST Abhijit Chowdhury নিয়ম মেনে চলার জন্যই আইন ও বিচার ব্যবস্থা। তবে সেই নিয়ম অনেক সময়ই ভাঙা হয় বিভিন্ন কারণে। মানবিকতার স্বার্থেও এমনটা করা হয় কখনও কখনও। আর তাতে কোনও ভুল নেই বলেই মত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই আবহে সম্প্রতি এক মামলায় এক শিক্ষিকাকে তাঁর বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করলেন বিচারপতি। 1/5 শিশু অসুস্থ। তাই বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। তবে দেখা যায়, শিক্ষিকার বদলির আবেদন মানতে হলে ভাঙতে হবে নিয়ম। তবে সেই নিয়মের বাইরে গিয়েই শিক্ষিকার বদলির পক্ষে রায় শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 2/5 এদিকে নিজের রায়ে নাট্যকার বার্টল্ট ব্রেখটের লেখা এক কবিচার অংশ তুলে ধরেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘মারি ফারারের ভ্রূণ হত্যা’ কবিতার একটি অংশ জায়গা পায় তাঁর লিখিত রায়ে। বিচারপতি লেখেন, 'কিন্তু মশাইরা সব সাবধান। রাগ ঘৃণাকে আটকান, কেন না, যে জন্মেছে সে জন্মানোদের সাহায্য চায়...।' এর আগে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'অনেক সময়ই দর্শন আমাদের ন্যায়বিচারের পথে চলতে সাহায্য করে। আইনের মধ্যে থেকে এই আদালত ওই দর্শনকে গ্রহণ করছে।' 3/5 জানা গিয়েছে, দোলন দে নামক এক শিক্ষিকা নিজের বাড়ির কাছে একটি স্কুলে বদলি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার একটি স্কুলে তিনি পড়াতেন। তবে তাঁর বাড়ি কাঁচরাপাড়ায়। এই আবহে কাঁচরাপাড়ারই একটি স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই শিক্ষিকা। আবেদনকারী দোলনদেবী জানান, তাঁর তিনবছরের শিশুর শরীর খারাপ। 4/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, দোলনদেবীর তিন বছরের শিশুকন্যা অসুস্থ। সেই শিশুর হার্নিয়া। এই আবহে আবেদনকারী শিক্ষিকা আদালতে জানান, তাঁর বাড়ি থেকে স্কুল ৩৫ কিমি দূরে। এই আবহে নিজের সন্তানের খেয়াল রাখতে পারছেন না তিনি। তাই কাঁচরাপাড়ার স্কুলে বদলির আবেদন জানান তিনি। যগিও সেই বদলির আবেদনের বিরোধিতা করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। 5/5 উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের যুক্তি ছিল, দোলদেবী একই জেলার মধ্যে চাকরি করেন। বদলির নতুন নিয়ম অনুসারে বদলির অনুমতি দেওয়া যাবে না তাই। যদিও ওই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত পর্যবেক্ষণ করে, অসুস্থ শিশুটির কথা চিন্তা করে ওই শিক্ষিকাকে বদলির করানোর প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি রায় দেন, ওই শিক্ষিকাকে তিন সপ্তাহের বাড়ির একেবারে কাছের স্কুলে বদলি করে আনতে হবে।