খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের ছকের মামলায় ভারতকে ইঙ্গিত করে মার্কিন দূত এরিক গারসেট্টি সম্প্রতি 'লক্ষ্মণরেখা পার না করার' পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস বিজয়শংকর আজ পালটা জবাব দিলেন গারসেট্টিকে।
1/6 সম্প্রতি পান্নু হত্যার ছকের মামলা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি। এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, 'কখনও লাল রেখা পার করা উচিত নয়। বিদেশি কোনও নাগরিককে হত্যা করার ঘটনায় কোনও দেশের সরকার বা সরকারি কর্মীদেরও যোগ থাকা বাঞ্চনীয় নয়।'
2/6 এদিকে গারসেট্টির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবার বললেন, 'আমেরিকা থেকে পাওয়া কিছু তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করছি এই ঘটনার। মার্কিন দূত তাঁর সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন। আর আমি আমার সরকারের অবস্থান সামনে রাখছি। আমরা তদন্ত করছি, কারণ আমরা মনে করি এর সঙ্গে আমাদের দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে।'
3/6 এদিকে তদন্ত নিয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি জয়শংকর। তিনি বলেন, যখন তদন্ত শেষ হবে, তখন এই নিয়ে সরকার তথ্য প্রকাশ করবে। এর আগে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারতের তদন্ত থেকে নাকি জানা গিয়েছে, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের এক প্রাক্তন এজেন্ট নাকি এই হত্যার ছক কষার নেপথ্যে থেকে থাকতে পারেন। তবে ভারত সরকার নাকি এই ধরনের কোনও অভিযানের অনুমতি দেয়নি।
4/6 সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, যে র' এজেন্টের এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার কথা বলা হচ্ছে, তিনি এখন এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত নন। তবে সরকারি ভাবে এখনও ভারতের তরফ থেকে এই তদন্তের বিষয়বস্তু জনসমক্ষে আনা হয়নি। এদিকে এই গোটা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত আরও এক আধিকারিক নাকি এখনও ভারত সরকারের অধীনে কাজ করছেন। আর সরকার সেই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।
5/6 উল্লেখ্য, খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং মানকে হত্যার ছকের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নিখিল গুপ্তা নামক এক ভারতীয় নাগরিক ইতিমধ্যেই চেক প্রজাতন্ত্রের জেলে আছেন। নিখিলের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকা নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আমেরিকার আদালতে।
6/6 গত ২০২৩ সালের ৩০ জুনে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের রফা হয়েছিল। দাবি করা হয়, অগ্রিম বাবদ 'আততায়ী'-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তবে সেই 'আততায়ী' আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই 'আন্ডার কভার এজেন্ট' ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন।