২০১৯ সালের সংকল্প পত্রে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং পরবর্তীতে তা অন্যান্য রাজ্যেও কার্যকর করা হবে। তবে ২০২৪ সালে সেই এনআরসি-র কোনও উল্লেখ নেই বিজেপির সংকল্প পত্রে।
1/5 লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কয়েকদিন আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র বিধি কার্যকর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই সিএএ বিধি নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দেয়। এরই মাঝে এনআরসি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এর আগে অমিত শাহ নিজেই সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, 'দেশে এনআরসি হবেই। আগে সিএএ হবে, তারপরে এনআরসি হবে।' পরে তিনি 'ক্রোনোলজি' বুঝিয়েও এনআরসি নিয়ে বলেছিলেন সাংবাদিকদের।
2/5 তবে অমিত শাহের সেই সব মন্তব্যের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সিএএ আইনে পরিণত হওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলেছিল। দিল্লি, অসমে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সিএএ নিয়ে বিজেপি অনড় থেকেছে। এখন বিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর যখন মানুষের মনে এটা নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়েও বিজেপির শীর্ষ নেতারা বুঝিয়ে শুনিয়ে অভয় প্রদানের চেষ্টা করছেন।
3/5 তবে এত কিছুর মাঝেও ২০২৪ সালে বিজেপির ইস্তেহার থেকে উধাও হয়ে গেল 'এনআরসি'। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালের ইস্তেহারে বিজেপি দাবি করেছিল, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনআরসি হবে। তবে ২০২৪ সালে সেই এনআরসি-র উল্লেখ ছিল না বিজেপির ইস্তেহার পত্রে।
4/5 এদিকে এনআরসি না হলেও ইউসিসি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশে সরব হতে শোনা গিয়েছে একাধিক বিজেপি নেতাকে। এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। আগামীতে গোটা দেশে কার্যকর করার আগে উত্তরাখণ্ডে 'পরীক্ষামূলক' ভাবে ইউসিসি কার্যকর করা হয়েছে বলে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এই আবহে নিজেদের ইস্তেহারে বিজেপি স্পষ্ট করে দিল, ২০২৪ সালের ভোটে জিতলে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করবে মোদী ৩.০ সরকার।
5/5 এদিকে গতবছরই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে 'এক দেশ, এক ভোট' কার্যকর করার জন্যে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কমিটি কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপতী মুর্মুর কাছে নিজেদের প্রস্তাব পেশ করেছে। আর এবার বিজেপি নিজেদের সংকল্প পত্রে দাবি করল, সরকারে এলে তারা ভারতে 'এক দেশ, এক ভোট' কার্যকর করবে।