বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Mahua Moitra Updates: মহুয়া কি প্রার্থী হবেন ভোটে? দিদি বললেন, ‘না হওয়ার তো কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না’
Mahua Moitra Updates: মহুয়া কি প্রার্থী হবেন ভোটে? দিদি বললেন, ‘না হওয়ার তো কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না’ Updated: 08 Dec 2023, 06:54 PM IST Abhijit Chowdhury , Sritama Mitra তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়তে পারে লোকসভায়। এই সংক্রান্ত খবরের যাবতীয় আপডেট জানুন এখানে। (কমিটির সুপারিশ জানতে ক্লিক করুন ) 1/23 মহুয়া মৈত্র লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন কি না। তার উত্তর দিয়েছেন মমতা। মমতা বলেন, না হওয়ার তো কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। তাছাড়া ওকে তো পার্টি প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে কৃষ্ণনগরে। তাছাড়া পার্টি তো ওর পেছনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বনি ভোটে হয়েছে। ভোট রেকর্ড করা হয়নি। হাত তুলে ভোট। চেঁচিয়ে ভোট আর কি! কোনওরকম স্কোপ না দিয়ে। (ANI Photo) 2/23 সুদূর দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছে মহুয়া মৈত্রের জন্য পাশে থাকার বার্তা ইন্ডিয়া শিবিরের জোটসঙ্গী ডিএমকে তৃণমূলের এই নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে, এই বহিষ্কারের ঘটনাকে 'কঠোর' বলে ব্যাখ্যা করেছে। ডিএমকের অভিযোগ, ভোটের আগে, টেবিলে যা রাখা হয়েছিল তা কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি। মহুয়া মৈত্রকে ক্রস অক্সামিন করতেও দেওয়া হয়নি। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 3/23 এদিকে, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন বিএসপির সাদংসদ দানিশ আলি। উল্লেখ্য, দানিশ আলির উদ্দেশে করে এর আগে সংসদে বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখেন। দানিশ মহুয়া ইস্যুতে বলছেন,'কারোর কাছে প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার মানে এই নয় যে বিরোধ সাংসদদের বহিষ্কার করা হবে। ' 4/23 অধীর চৌধুরী এদিন মহুয়া ইস্যুতে বলেন, ‘গোটা ঘটনাই বদলার ভাবনা নিয়ে করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বেবুনিয়াদ তথ্যের উপর এই কাজ করা হয়েছে।’ মহুয়া ইস্যুতে অধীর বলেন, এটি মহিলাদের বিরুদ্ধ ভাবনার পদক্ষেপ। 5/23 শুভেন্দু অধিকারী মহুয়া ইস্যুতে তোলেন দেবী কালীকে ঘিরে মহুয়ার পুরনো মন্তব্যের কথা। শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেল থেকে খোঁচার সুরে লেখেন, ‘ঈশ্বরের উল্লেখ করার সময় অপবাদমূলক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁকে ছোট করার ক্ষমতা আপনার নেই, কিন্তু তাঁর রাগ আপনাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে।’ 6/23 তৃণমূলের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'মহিলারা ক্ষমতায় থাকলে বিজেপি সহ্য করতে পারে না। কীভাবে তারা ভাবল যে, ওঁকে (মহুয়াকে) চুপ করিয়ে রাখাটাই যথেষ্ট হবে, কারণ উনি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন!' 7/23 প্রহ্লাদ যোশী বললেন,'উনি তো স্বীকার করেছেন যে এই ব্র্যান্ডের স্কার্ফ পাওয়া গিয়েছে, এই ব্র্যান্ডের লিপস্টিক পেয়েছেন। আর তিনি ৩৬ বারের বেশি বিভিন্ন জায়গা. ঘুরেছেন।' প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘উনি একবারও নিজের সংসদীয় কেন্দ্র নিয়ে কথা বলেননি।’ 8/23 বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘এমন কাজ কোনও সাংসদ করলে কি তাঁকে ভারত রত্ন দেওয়া উচিত নাকি পদ্ম সম্মান দেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘বাংলার জন্য এটি লজ্জার ঘটনা।’ তিনি বলেন, ‘নিয়ম আমরা বানাইনি। নিয়ম নেহরুজির আমলে তৈরি হয়েছে।’ 9/23 মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হতেই ফুঁসে উঠলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘এক জন মহিলাকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে ভাবে হেনস্থা করল, তাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল। দল মহুয়ার পাশে ছিল, আছে।’ তিনি অভিযোগের সুর চড়িয়ে বলেন,'মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।' 10/23 সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘মোদী সরকার আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চাইছে। মহিলা সাংসদকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আগামী ছ’মাসও হেনস্থা করা হবে। এই লড়াই আগামী ৩০ বছর ধরে চলবে।’ এদিকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে এটা করা হয়েছে।’ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে ন্যায়বিচার করা হয়নি।’ 11/23 লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। ১১ ডিসেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি হল লোকসভা। 12/23 মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলতে ওঠেন পরিষদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মহুয়া নিজেই তৃণমূলের তরফ থেকে বলবেন। তবে স্পিকার মহুয়াকে কথা বলার সুযোগ দেননি। স্পিকারের যুক্তি, এই বিষয়ে মহুয়া আগেই নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ পেয়েছিলেন, তাই নতুন করে মহুয়াকে কথা বলতে দেওয়া যায় না। এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মহুয়াকে বলতে না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, কমিটির সামনে বসিয়ে হিরানন্দানির বয়ান শোনা হয়নি। 13/23 মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হল লোকসভায়। সুপারিশ নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদে প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এদিকে কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি এই বিষয়ে বলেন, দুপুর ১২টায় রিপোর্ট পেশ করে ২টোর সময় তা নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হচ্ছে না। 14/23 তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হল লোকসভায়। বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকর লোকসভায় পেশ করলেন সেই রিপোর্ট। রিপোর্ট পড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 15/23 আজ সংসদে পৌঁছে মহুয়া মৈত্র বলেন, 'মা দুর্গা এসে গিয়েছেন। এখন আমরা দেখব... যখন কোনও মানুষের সর্বনাশ হওয়া শুরু হয়, তখন সবার আগে বিবেকের নাশ হয়। তারা 'বস্ত্রহরণ' শুরু করেছে এবং এখন আপনারা 'মহাভারত কা রণ' দেখতে পাবেন।' 16/23 মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের আগেই লোকসভায় ধুন্ধুমার। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করা হল সংসদ। এদিকে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র নিজে বলেছেন, ‘যা হবে দেখা যাবে’। 17/23 মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেতে চলেছে সংসদীয় এথিক্স কমিটি। কমিটির ৫০০ পাতার রিপোর্টের কপি ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। আজ সেই রিপোর্টটি সংসদে পেশ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আর লোকসভায় সেই রিপোর্ট গৃহীত হলে আজই সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে মহুয়ার। 18/23 এদিকে সম্প্রতি ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা মামলায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। এর আগে সিবিআই-এর কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে 'টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন' করার মামলায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদরাই এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরে সংবাদমাধ্যমে মহুয়া মেনে নিয়েছিলেন যে তিনি হিরানন্দানিকে আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। তবে ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছিলেন মহুয়া। 19/23 উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই-এর কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে 'টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন' করার মামলায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদরাই এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিকে এই বিতর্ক নিয়ে হলফনামা দিয়েছিলেন শিল্পগোষ্ঠী হিরানন্দানির সিইও দর্শন হিরানন্দানি। তাতে আরও চাপে পড়েন মহুয়া মৈত্র। 20/23 হলফনামায় হিরানন্দানি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদনাম করতে আদানি গ্রুপকে নিশানা করেছিলেন মহুয়া। আদানি গোষ্ঠীকে চাপে ফেলার মতো প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার জন্য নাকি হিরানন্দানিকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। হলফনামা অনুযায়ী, দর্শন হিরানন্দানির দাবি, আদানি গোষ্ঠীকে চাপে ফেলার মতো প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাঁকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। পরিবর্তে তাঁর থেকে মহুয়া বিলাসবহুল জিনিসপত্র নিতেন। 21/23 হিরানন্দানি দাবি করেছিলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করার পথ বেছে নেন মহুয়া। কিন্তু স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে নীতি সংক্রান্ত বিষয়, প্রশাসনিক বিষয়ে মোদীকে আক্রমণের সুযোগ পাননি মহুয়া। সেজন্য আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহুয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণের পন্থা বেছে নেন। এদিকে হিরানন্দানিকে পাসওয়ার্ড ও আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনও ধরনের ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মহুয়া। 22/23 হিরানন্দানি আরও দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মহুয়ার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁর। সেইসময় বিধায়ক ছিলেন মহুয়া। ২০১৯ সালে সাংসদ হন মহুয়া। সেই সময় ব্যবসায়িক 'দ্বন্দ্ব' চলছিল আদানি এবং হিরানন্দনিদের মধ্যে। দর্শনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি না করে আদানি গোষ্ঠীর ধর্মা এলএনজির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইন্ডিয়ান অয়েল। এই আবহে আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্নমালা তৈরি কে দেওয়ার জন্য দর্শনকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মহুয়া। এর জন্য তাঁকে সংসদের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া।
23/23 হিরানন্দানির হলফনামায় দাবি কর হয়, ক্রমেই মহুয়ার সঙ্গে হিরানন্দনির সম্পর্ক ভালো হতে থাকে। পরে তাঁর থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করতে থাকেন মহুয়া। তাঁর ওপর নাকি মহুয়া চাপও সৃষ্টি করেছিলেন। এই আবহে মহুয়ার কথা মতো চলতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু এখন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হওয়ায় তিনি নিজে থেকেই মুখ খুলেছেন বলে দাবি করেন হিরানন্দানি। পরে সংসদের এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সুপারিশ করে এই মামলায়।