1/5 মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সালাম ভুট্টাবির। নিশ্চিত করল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে যে ২০২৩ সালের ২৯ মে পাকিস্তানি সরকারি হেফাজতে থাকার সময় পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদিকে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ভুট্টাবির। যে জঙ্গি ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের ডেপুটি ছিল। হাফিজের অনুপস্থিতিতে লস্করের নেতৃত্বও দিয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এক্স @shivaye01)
2/5 রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের ১৪ মার্চ ভুট্টাবিকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অত্যন্ত দু'বার যখন হাফিজকে ধরা হয়েছিল, তখন লস্করের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভুট্টাবি। লস্করের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর হাফিজকে ধরা হয়েছিল। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছিল তাকে। ২০০২ সালের মাঝামাঝি সময় পাকিস্তানের লাহোরে লস্করের নেটওয়ার্ক বিস্তারের দায়িত্বে ছিল। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/5 ভুট্টাবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করার আগেই রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের সরকারের হেফাজতে আছে মুম্বই হামলার মূলচক্রী। সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে আর্থিক মদতের মামলায় ৭৮ বছরের জন্য জেল হয়েছে তার। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই জেলের মেয়াদ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)
4/5 মুম্বই হামলাতেও জড়িত ছিল ভুট্টাবি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে যে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল, তাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল ওই লস্কর জঙ্গি। ওই জঙ্গিদের মগজধোলাই করেছিল। শুধু তাই নয়, লস্করের মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক বিস্তারের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভুট্টাবি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ভূষণ কোয়নাডে/হিন্দুস্তান টাইমস)
5/5 এমনিতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় একাধিকবার হাফিজকে নিজেদের হাতে চেয়েছে ভারত। ডিসেম্বরেও পাকিস্তানকে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে বারবার জানানো হয়েছে যে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মুম্বই হামলার মূলচক্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না পাকিস্তান। যেটুকু যা করা হয়েছে, পুরোটাই লোকদেখানো। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)