বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন প্রেমিক। সেই রাগে প্রেমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পাটান থানা এলাকার কোলহুয়া গ্রামে। মৃত যুবকের নাম ধর্মেন ওরাঁও (২৪)। অন্যদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিকার নাম অঞ্জলি কুমারী। খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া, পুলিশ অঞ্জলির কাছ থেকে একটি রক্তমাখা সালোয়ার কামিজ এবং হত্যার অস্ত্র অর্থাৎ কুড়ুলটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদে, রক্তাক্ত মহাষ্টমীর রাত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলির সঙ্গে ধর্মেন ওরাঁওর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অঞ্জলি তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না ধর্মেন। তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই ক্ষোভে অঞ্জলি তাঁকে খুন করেছে বলে সে জেরায় স্বীকার করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। এর জন্য গত শনিবার ধর্মেনকে একটি নির্জন স্থানে ডেকে পাঠিয়েছিল অঞ্জলি। সেখানে তারা একসঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটায়। কিছুক্ষণ কথা বলার পর মাটিতেই ঘুমিয়ে পড়েন ধর্মেন। সেই সুযোগে কুড়ুল দিয়ে ধর্মেনকে হত্যা করে অঞ্জলি। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মেনকে খুনের জন্য সেখানে কুড়ুল এনে লুকিয়ে রেখেছিল অঞ্জলি। এরপর ধর্মেন ঘুমিয়ে পড়তেই কুড়ুল বের করে নিজের পরিকল্পনা সফল করে তরুণী।
এদিকে, কেউ যাতে ধর্মেনের দেহ খুঁজে না পায় তার জন্য ওই তরুণী একটি ঝোঁপের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে দিয়েছিল। তবে পরের দিন সেখানে ধর্মেনের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারাই পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার, সুরজিত কুমার বলেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করেছি। ঘটনাস্থলে পাওয়া প্রমাণের সাহায্যে আমরা অভিযুক্তকে খুঁজে বের করেছি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। অঞ্জলি স্বীকার করেছে যে তার প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করেছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তার রক্তমাখা কাপড় ও খুনে ব্যবহৃত কুড়ুল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’ ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।