করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেজন্য হাঙ্গেরি এবং আমেরিকার দুই বিশেষজ্ঞকে স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি। এবার তাঁরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা যে গবেষণা করেছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে ক্যানসার, হৃদরোগের মতো চিকিৎসার উপায় বের করার চেষ্টা চলছে।
1/6 করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সেজন্য ২০২৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেলেন কাতালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএনএ টিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @NobelPrize)
2/6 এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে বরাবরই 'ফেভারিট' হিসেবে কাতালিন এবং ওয়েইসম্যানকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত তাঁরাই নোবেল পেয়েছেন। নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, আধুনিক সময় মানুষের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে অন্যতম ভয়ংকর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে ব্যাপক হারে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছেন কাতালিন এবং ওয়েইসম্যান। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
3/6 ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। যুক্ত আছেন পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও। অন্যদিকে, ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসচুয়েটসে জন্মগ্রহণ করেন ওয়েইসম্যান। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনর সঙ্গে যুক্ত আছেন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি)
4/6 সাধারণত কয়েক দশকের পুরনো গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার সেই প্রথা ভেঙে তুলনামূলকভাবে 'কম বয়স্ক' গবেষণার জন্য কাতালিন এবং ওয়েইসম্যানকে স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি। ২০০৫ সালের গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রথম এমআরএ প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম করোনা টিকা তৈরি করে ফাইজার-বায়োটেক এবং মডার্না। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি)
5/6 এমনিতে আর পাঁচটা চিরাচরিত টিকার থেকে mRNA টিকা আলাদা হয়। চিরাচরিত টিকায় দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। সেখানে mRNA টিকার ক্ষেত্রে জেনেটিক মলিকিউল থাকে। যা কোষকে নির্দেশ দেয় যে কী প্রোটিন তৈরি করতে হবে। যা সংক্রমণের মতো পরিবেশ তৈরি করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে আগে থেকেই 'প্রশিক্ষণ' দিয়ে রাখে। তার ফলে আদতে যখন ভাইরাস আক্রমণ করে, তখন প্রস্তুত থাকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)
6/6 যে গবেষণার জন্য কাতালিন এবং ওয়েইসম্যান নোবেল পেয়েছেন, সেটার ধারণা প্রথমে ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত একটি পদ্ধতি তৈরি করেন কাতালিন এবং ওয়েইসম্যান, যা মানুষের জন্য সুরক্ষিত টিকা তৈরির পথ প্রশস্ত করেছে। তাঁদের mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যানসার, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং হৃদরোগের মতো অসুস্থতার চিকিৎসা উপায় বের করার চেষ্টা চলছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি)