পুরনো পেনশন প্রকল্প বনাম নয়া পেনশন প্রকল্প - সেই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। একাধিক রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে সেই পথে হাঁটছে না, তা কার্যত করে দিয়েছে। তারইমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) একটি রিসার্চ পেপার সামনে এল।
1/5 'পুরনো পেনশন স্কিম' চালু করে রাজ্যগুলি আখেরে নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনই আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কয়েকজন আধিকারিক। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কয়েকজন আধিকারিকের সেই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, 'নয়া পেনশন স্কিম'-র পরিবর্তে 'পুরনো পেনশন স্কিম' চালু করলে কোনও রাজ্যের উপর ৪.৫ গুণ আর্থিক বোঝা চাপবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
2/5 সেই প্রতিবেদন লিখেছেন আরবিআইয়ের রচিত সোলাঙ্কি, সোমনাথ শর্মা, আরকে সিনহা, এস আর বেহেরা এবং অত্রি মুখোপাধ্যায়। পুরনো পেনশন প্রকল্প নিয়ে তাঁরা যে মতপ্রকাশ করেছেন, তা অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অভিমত নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
3/5 ওই রিসার্চ পেপারে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে, যে রাজ্যগুলি পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনছে, সেগুলি আদতে পিছনের দিকে হাঁটছে। স্বল্পকালীন মেয়াদে লোভনীয় হলেও দীর্ঘকালীন সময় পুরনো পেনশন প্রকল্প আদতে রাজ্যগুলির চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘকালীন সময় পেনশন খাতে রাজ্যগুলিকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
4/5 আরবিআইয়ের আধিকারিকদের রিসার্চ পেপারের অনুমান, পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরে গেলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক পেনশন খাতে জিডিপির ০.১ শতাংশ অর্থ বাঁচাতে পারবে রাজ্যগুলি। কিন্তু ২০৪০ সালের পর পেনশন খাতে গড়ে বাড়তি ০.৫ শতাংশ (বার্ষিক জিডিপির ০.৫ শতাংশ) খরচ হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/5 উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি নয়া পেনশন প্রকল্প চালু রাখলেও একাধিক বিরোধী-শাসিত রাজ্যে (রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ) পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একাধিক রাজ্যের ভোটের ইস্তাহারেও সেই বিষয়টির উল্লেখ করা হয়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)