আসন্ন পাক সাধারণ নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পিটিআই-এর নির্বাচনী প্রতীক কেড়ে নেওয়া হল। এর আগে ইমরানের 'ব্যাট' কেড়ে নেওয়ার পক্ষে নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশই বহাল রাখল পেশোয়ার হাই কোর্ট।
1/5 এর আগে গত অগস্টে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিলেন ইমরান খানকে। তারপর থেকেই প্রাক্তন এই তারকা ক্রিকেটারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। পরে অবশ্য ইসলামাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে তাতে পুরোপুরি স্বস্তি পাননি ইরমান। কারণ এরপর তিনি জড়িয়ে পড়েন রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগের মামলায়।
2/5 এই সবের মাঝেই ইমরান খানের দল পিটিআই-এর সাংগঠনিক নির্বাচন করানোর নির্দেশ গিয়েছিল পাক নির্বাচনী কমিশন। এই আবহে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতা গোহর আলি খান। আর দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন আয়ুব খান। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে গঠন করা হয়েছিল পিটিআই। তারপর থেতে এবারেই প্রথম ইমরান ছাড়া অন্য কেউ দলের চেয়ারম্যন হন।
3/5 এদিকে এত সবের পর পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশন জানায়, পিটিআই-এর সাংগঠনিক বিধি মেনে দলের চেয়ারম্যানের নির্বাচন হয়নি। এই আবহে দলের নির্বাচনী প্রতীক 'ব্যাট' কেড়ে নেওয়া হয়। কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশোয়ার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিটিআই নেতৃত্ব। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। তবে বুধবার কমিশনের নির্দেশকেই বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় দিল উচ্চ আদালত।
4/5 উল্লেখ্য, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য বাছাইয়ের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই পাশাপাশি প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচনও হবে। এরই মাঝে ইমরান খান একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছেন। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় পাক সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বরে জামিন দিলেও আপাতত আদিয়ালা জেলে দিন কাটছে ইমরানের। এদিকে নিজের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে আগে। এবার তাঁর দলও 'ব্যাট' হারাল।
5/5 এদিকে সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য লাহোরের এনএ–১২২ এবং মিয়াঁওয়ালির এনএ–৮৯ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পাক নির্বাচন কমিশন জানায়, ইমরান খানের নাম পাকিস্তানের ভোটার তালিকাতেই নেই। এই আবহে তাঁর মনোনয়নের বৈধতা ছিল না বলে জানায় কমিশন।