Palestinian Israel Clashes Timeline: সারা বিশ্বের কাছেই প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের দ্বন্দ্ব একটি বড় সংকটের কারণ। দেখুন কীভাবে এর শুরু আর পরপর কী কী হয়েছে এত দিন।
1/21 ইজরায়েলে রকেট হানা চমকে দিয়েছে সকলকেই। কিন্তু এই আক্রমণ এক দিনের ঘটনা নয়, দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে এই দ্বন্দ্ব। কীভাবে এর শুরু? কী কী ঘটেছে এত দিনে? দেখে নিন, তার টাইমলাইন।
2/21 ১৯৪৯ সালে, নবনির্মিত ইজরায়েল রাষ্ট্র আরব দেশগুলির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করে। বহু দিন ধরে এই যুদ্ধ চলে আসছিল। ১৯৪৯ সালের চুক্তির অধীনে গাজা উপত্যকা মিশরের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
3/21 ১৯৫৬ সালের অক্টোবরে মিশরীয় রাষ্ট্রপতি সুয়েজ খাল জলপথ জাতীয়করণের কয়েক মাস পরে, ইজরায়েলকে জাহাজ চলাচল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। ইজরায়েল সিনাই উপদ্বীপ এবং গাজা উপত্যকায় আক্রমণ করে। সেই বছরের নভেম্বরে, ইউনাইটেড নেশনসের তরফে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ইজরায়েলকে বলা হয়, তারা যেন মিশর থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে।
4/21 ১৯৫৭ সালের জানুয়ারিতে ইজরায়েল গাজা উপত্যকা এবং আকাবা উপসাগরের এলাকা বাদ দিয়ে, বাকি মিশরীয় ভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। তারা একই সঙ্গে দাবি করে, গাজা উপত্যকা কখনও মিশরের অন্তর্গত ছিল না।
6/21 ২৬ মার্চ, ১৯৭৯ সাল এল এর পরে। সেই দিনে মিশর এবং ইজরায়েল হোয়াইট হাউসে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর ফলে সিনাই উপদ্বীপ থেকে ইজরায়েল সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে। দুই দেশ অধিকৃত অঞ্চলে বসবাসরত প্যালেস্তিনিয়দের স্ব-শাসনের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তির কাঠামো সম্মত হয়। তিন বছর পরে প্রেসিডেন্ট রিগান কিছু জর্ডানের তত্ত্বাবধানে প্যালেস্তিনিয়দের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। কিন্তু ইজরায়েল এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে।
7/21 ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে ইয়োম কিপ্পুরে যুদ্ধ চলে। সেখানে মিশর এবং সিরিয়া থেকে আক্রমণকারী বাহিনী আরব দেশগুলির জন্য আরও ভালো শর্তে আলোচনার জন্য ইজরায়েলকে রাজি করার চেষ্টা করে। ১৯ দিনের যুদ্ধে প্রায় ২৭০০ ইজরায়েলি সৈন্য মারা গিয়েছিলেন এবং সেই সময়ে প্রায় ৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন।
8/21 ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজায় বসবাসকারী প্যালেস্তানিয়রা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্তিফাদা শুরু করেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা হামাস প্রতিষ্ঠা করেন এই সময়ে। সংকট আরও বাড়তে থাকে।
9/21 ১৯৯৩ সালে আরাফাত ইজরায়েলের সঙ্গে অসলো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে সংঘাতের অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। চুক্তির বিরোধিতাকারী হামাস ইজরায়েলে ধারাবাহিক আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়।
10/21 ১৯৯৭ সালে দু’টি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৭ জন নিহত হন এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেস বলেন, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ চালাবেন। এই ঘটনা তিনি সহজে মেনে নেবেন না।
11/21 ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাম্প ডেভিডে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে আলোচনা একটি অচলাবস্থায় পৌঁছোয়। তার কয়েক মাস পরে একটি দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয়। প্যালেস্তাইনের যুবকরা ইজরায়েলি পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন। ইজরায়েলের সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি নেয় হামাস। তার কারণে প্যালেস্তাইনের মধ্যে হামাসের প্রতি সমর্থন বাড়তে থাকে।
12/21 ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে, ইজরায়েলি সৈন্যরা গাজা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে। কিন্তু ইজরায়েল প্যালেস্তিনিয়দের নির্দিষ্ট এলাকার ভিতরে চলাচল এবং বাইরে আসার উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে। এতে আন্তর্জাতিক মহলে তারা সমালোচনার মুখে পড়ে।
13/21 আধাসামরিক সংস্থা ফাতাহ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর প্রায় এক বছর পরে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে হামাস প্যালেস্চাইন সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে। এক বছর পরে, হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, ফাতাহ বাহিনী সরে যায়।
14/21 গাজা থেকে রকেট হামলার জবাবে, ইজরাইল ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে হামাসের উপর হামলা চালায় যাতে ২০০ প্যালেস্তিনি নিহত হন। কিছুক্ষণ পরে তারা হামাসের বিরুদ্ধে স্থল যুদ্ধ শুরু করে। মোট ১২০০ প্যালেস্তিনি এবং ১৩ ইজরায়েলি নিহত হন।
15/21 ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ইজরাইল এবং প্যালেস্তাইন গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, তার পরে ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে এবং স্ট্রিপের সীমারেখা পুনরায় মোতায়েন করা হয়।
16/21 ২০১২ সালের নভেম্বরে, ইজরায়েল হামাসের সামরিক প্রধান আহমেদ আল-জাবারিকে হত্যা করে। এর পরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গুলি বিনিময় শুরু হয়। তাতে ১৫০ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনি এবং কমপক্ষে ছয় জন ইজরায়েলি নিহত হয়।
17/21 ২০১৪ সালে হামাস ইজরায়েলের তিন কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা করে। এর ফলে রকেট হামলা শুরু হয় ইজরায়েলের তরফে। তাতে ১৮৮১ জন প্যালেস্তিনিয় এবং ৬০ জনেরও বেশি ইজরায়েলির মৃত্যু হয়।
18/21 ২০১৮ সালে গাজা এবং ইজরায়েলের সীমানায় প্যালেস্তিনিয় যুবকরা বিক্ষোভ দেখান। সেখানে ইজরায়েলের সেনা আক্রমণ করায়, ১৭০ জন মতো প্যালেস্তিনিয় নিহত হয়েছিল।
19/21 ২০২১ সালের মে মাসে, ইজরায়েলি পুলিশ জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালায়। এটিকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান বলে মনে করেন অনেকে। এখানে আক্রমণ হওয়ায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়। তাতে ২০০ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনি এবং ১৯ জনেরও বেশি ইজরায়েলি নিহত হন।
20/21 ২০২২ সালের ইজরায়েলি শহরগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, সে দেশের বাহিনী ইসরায়েল-অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে কমপক্ষে ১৬৬ জন প্যালেস্তিনিয়কে হত্যা করে। এতেই বিক্ষোভ তৈরি হয় প্যালেস্তাইনে।
21/21 চলতি বছর বেশ কয়েক বার ইজরায়েলি বাহিনী প্যালেস্তাইন শহর জেনিনে সামরিক অভিযান চালায়। জানুয়ারিতে পূর্ব জেরুজালেমের একটি সিনাগগে আবার একজন প্যালেস্তিনিয় ব্যক্তি ৭ জনকে হত্যা করে। তার পর থেকেই জারি রয়েছে এই সংকট।