কার্গিল পরবর্তী সময়ে ভারতে তখন স্লোগান ‘দুধ মাঙ্গো গে তো ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গো গে তো চিড় দেঙ্গে’ মুখে মুখে ফিরছিল। এই আবহে আগ্রায় অটলবিহারীর সঙ্গে সাক্ষাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী রান্নার হাতের প্রশংসা করেন মুশারফ। প্রশ্ন করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কী রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করবেন? জবাবে অটলবিহারী বলেছিলেন ‘ক্ষীর’।
1/7 ভারত পাকিস্তানের কূটনীতিতে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়কালে ক্রমেই প্রকট হতে শুরু করে একটি নাম। আর সেই নাম হল জেনারেল পারভেজ মুশারফ। কার্গিল যুদ্ধকালে তিনি ছিলেন সেদেশের সেনা প্রধান। আর কার্গিল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের সর্বময় কর্তার আসনে তিনি বসেন। (PTI Photo/Subhav Shukla)(PTI02_05_2023_000078A)
2/7 ততদিনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি থেকে সরে যেতে হয়েছিল নওয়াজ শরিফকে। কারণ পারভেজ মুশারফের সেনা তখন অভ্যুত্থানের রাস্তা নেয়। এই রাজনৈতিক রুদ্ধশ্বাস পালাবদলের পর পাকিস্তানের শাসক হিসাবে অধিষ্ঠান করেন মুশারফ। ততদিনে তিনি প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ। কার্গিল পরবর্তী সময়ে ভারত-পাক শান্তি আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বহু বার আলোচনায় বসেন পারভেজ মুশরাফ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর মোট ৫ টি বৈঠকের দুটি ছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে আর ৩ টি ছিল মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। (PTI Photo)(
3/7 ২০০১ সালের ১৫ ও ১৬ জুলাইয়ে এক সামিটে যোগ দিতে ভারতে পাল রাখেন পারভেজ মুশারফ। দিল্লিতে জন্ম নেওয়া পারভেজের সেবার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীয়ের সঙ্গে শান্তি আলোচনা। সেই বৈঠক যদিও ফলপ্রসূ হয়নি। এদিকে, কার্গিল পরবর্তী সময়ে ভারতে তখন স্লোগান ‘দুঘ মাঙ্গো গে তো ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গো গে তো চিড় দেঙ্গে’ মুখে মুখে ফিরছিল। এই আবহে আগ্রায় অটলবিহারীর সঙ্গে সাক্ষাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী রান্নার হাতের প্রশংসা করেন মুশারফ। প্রশ্ন করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কী রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করবেন? জবাবে অটলবিহারী বলেছিলেন ‘ক্ষীর’। (Photo by Aamir QURESHI / AFP) / XGTY
4/7 এরপরও ২০০২ সালে সার্ক সামিটের সময় অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল পারভেজ মুশারফের।সেখানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। স্বাক্ষরিত হয় চুক্তিও। . (AP Photo/John McConnico, File)
5/7 সময়কাল ২০০৪ নিউইয়র্ক। ইউপিএ সরকারের আমলে এইটিই ছিল প্রথমবার পারভেজ মুশারফের সঙ্গে বৈঠক মনমোহন সিংয়ের। একদিকে পারভেজ মুশারফ, যিনি অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে জন্মেছেন, অন্যদিকে, মনমোহন সিং যিনি স্বাদীনতা পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রভিন্সে জন্মেছিলেন। তাঁদের ব্যক্তিগত নানান বিষয়ে সেইবারের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে।গ্যাস পাইপলাইন ছাড়াও দুই দেশের উন্নয়ন নিয়ে চলেছিল আলোচনা। . (PTI Photo)
6/7 মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফের সঙ্গে বহু সময়ই সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর। ২০০৫ সালে ফিরজো শাহ কোটলায় ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন মুশারফ। সেবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তাঁর সঙ্গে খেলা দেখতে দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ ছাড়াও দুই দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা উঠে আসে। (PTI Photo)
7/7 ২০০৬ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার আবহে হাভানাতে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে এক সামিটের ফাঁকে দেখা হয়েছিল পারভেজ মুশারফের। দুই দেশ সন্ত্রাস দমনে একমত হলেও পাকিস্তানের তরফে সেভাবে কোনও উজ্জ্বল উদ্যোগ উঠে আসেনি। REUTERS/B Mathur/File Photo