পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিলেন উত্তরবঙ্গের পাম্প ডিলার সংগঠনের সদস্যরা। শুক্রবার শিলিগুড়িতে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের তরফে এ কথা জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি শ্যামল পাল চৌধুরী জানান, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়কার ১৯ কোটি টাকা পাওনা এখনও মেটানো হয়নি।
1/5 পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটেছে অনেক দিনই হল। এবার আসছে লোকসভা নির্বাচন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া পেট্রোলের দামই এখনও মেটানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগে কড়া অবস্থান উত্তরবঙ্গের পেট্রোল পাম্প ডিলারদের। বকেয়া মেটানোর পাশাপাশি আগামী লোকসভা ভোটের জন্য পেট্রোলের জন্য আগাম ৭৫ শতাংশ টাকা চেয়ে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা।
2/5 পেট্রোল পাম্প ডিলার সংগঠনের সভাপতি শ্যামল পাল চৌধুরী বলেন, '২০১৭ থেকে আমাদের ডিলারদের কমিশন সংশোধন করা হয়নি। অথচ এই সাত বছরে মূল্যস্ফীতির হার কীভাবে বেড়েছে, তা সবাই জানেন। এই আবহে আমাদের অবস্থা খুবই সঙ্গীন। এদিকে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা যে তেল দিয়েছিলাম, সেই পয়সাও এখনও আমরা পাইনি। গোটা উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্পে বকেয়া রয়েছে ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।'
3/5 এই বকেয়া মেটানোর দাবিতে সরকার পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন সংগঠনের প্রধান। তিনি জানান, একাধিক চিঠি এবং ইমেল পাঠানো হলেও এখনও কোনও তরফ থেকেই কোনও জবাব আসেনি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে প্রতিবাদের পথে নামতে চলেছেন। এদিকে সামনের লোকসভা নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডিলারদের দাবি, আগের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার পরে লোকসভা ভোটের সময়ে প্রয়োজনীয় তেলের জন্য ৭৫ শতাংশ আগাম দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
4/5 এদিকে ডিলার সংগঠনের প্রধান দাবি করেন, সরকারের থেকে সময়মতো টাকা না মেলায় উত্তরবঙ্গের অন্তত ২৫টি পাম্প বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এই আবহে বকেয়া টাকা মোনোর দাবিতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ডিলার সংগঠন। তবে ডিলারদের বক্তব্য, 'পাম্প বন্ধ করে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এই প্রতিবাদের পর কী জবাব পাওয়া যায়, তার দিকে তাকিয়ে আমরা। এরপরে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
5/5 এদিকে ডিলারদের বক্তব্য, জেলা প্রশাসন এখনও পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। তবে জ্বালানি তেল উৎপাদন সংস্থাগুলি নাকি তাঁদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। এই আবহে ধর্মঘটের পরে ফের বৈঠকে বসা হবে। সেই বৈঠকে ডিলাররা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ আগরওয়াল বলেন, 'আমরা খুব কম মার্জিনে আগাম টাকা দিয়ে তেল কিনি। তবে সরকার আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মাসে মাসে বকেয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। লোকসানের মুখে পড়ছি আমরা।'